বর্তমানে আর্থিক সংকটে ভুগছে প্রতিটি মানুষ। করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্ত কমাতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু এর জেরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নানান ধরনের জালিয়াতি কারবার। দেশের বাজারে ছেয়ে গিয়েছে ২০০ টাকার আর ৫০০ টাকার জাল নোটে।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বাৎসরিক পরিসংখ্যান বলছে ২০১৮-১৯ সালে জাল ৫০০ টাকার নোটের সিরিজ ধরা পড়েছিল ২১৮৬৫ খানা৷ আর সেটা ২০১৯-২০ সালে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০,০৫৪ তে। মানে ৫০০টাকার জাল নোটের সংখ্যা এক বছরে ৩৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। হয়তো আপনার কাছেও যে টাকাটা আছে সেটা হতেই পারে জাল। তাই সাবধান।
অন্যদিকে পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট আরবিআই এবং ব্যাঙ্কগুলি একসঙ্গে ২০১৮-১৯ সালে ২০০ টাকার ১২৭২৮টি জাল নোট সনাক্ত করেছিল। আর সেটা ২০১৯-২০ তে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১,৯৬৯। অর্থাৎ ২০০ টাকার জাল নোটের সনাক্তকরণ গত একবছরে ১৫১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয় আরবিআইয়ের তথ্য সূত্রে খবর, ২ হাজার টাকার নোটের সার্কুলেশন গত দুবছরে চোখে পড়ার মতো কমেছে। পাশাপাশি ৫০০, ২০০ ও ১০০ টাকার মতো ছোটো নোটের সরবরাহ বেড়েছে বেশ কয়েকগুণ।
প্রসঙ্গত, হঠাৎই ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন সে কথা। টাকা জাল করা সমস্ত পথ বন্ধ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল সরকারের তরফে। নোটবন্দির সিদ্ধান্তের পরে ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোটের নতুন সিরিজের পাশাপাশি ২০০ টাকার নোটও চালু করেছিল। সবটাই জালিয়াতি বন্ধ করবে এই ভেবে। কিন্তু অভিযোগ এর ফলে জাল নোটের সমস্যা কমে যাওয়ার বদলে বরং বেড়ে গিয়েছে।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, ২০০০ টাকার নকল নোটের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দাবি, পুলিশের ধরপাকড়ে আর ব্যাঙ্কের হাতে যে নকল নোট এসেছে তার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট। এমনটাও হতে পারে বাজারে নকল নোটের সংখ্যা এর কয়েক গুণ।