কথায় বলে ‘জলই জীবন’। জল ছাড়া একটা মুহূর্তও চলতে পারে না মানুষের। পানীয় থেকে, রান্না করা অন্য যেকোনো কাজেই জল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। গরম শীত কিংবা বর্ষা সকল মানুষের একমাত্র ভরসাই জল। কিন্তু যদি এখন জল শূন্য হয়ে যায় শহর তাহলে কি হবে ভেবে দেখেছেন?
জল ছাড়া যে কোনো কাজই করা অসম্ভব মানুষের। এই জন্যই হয়তো জলকে জীবন বলা হয়। তবে, এক সমীক্ষা বলছে পৃথিবীর ১০০টি শহর ২০৫০ সালের মধ্যেই তীব্র জলকষ্টে ভুগতে হতে পারে। আর সবথেকে আতঙ্কের বিষয় সেই তালিকায় রয়েছে কলকাতাও।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড নামক এক সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী জলকষ্টে ভোগার তালিকায় কলকাতা ছাড়াও দেশের ৩০টি শহরের নাম রয়েছে। ভারতের পাশাপাশি ২০১৫ সালেই নাসার উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ঘেঁটে দেখা গিয়েছিল সারা পৃথিবীর ৩৭টি বৃহত্তম জলাজমির মধ্যে ২১টিই ভুগছে জলের সমস্যায়।
অন্যদিকে, সম্প্রতি WWF Water Risk Filter নামে সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী,কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, জয়পুর, ইন্দোর, অমৃতসর, পুনে, শ্রীনগর, বেঙ্গালুরু, কোঝিকোড় ও বিশাখাপত্তনম এই শহরগুলির পরতে পারে চরম জল সংকটে। এই প্রসঙ্গে WWF India-র এক কর্তা সেজাল ওয়ারা জানান, ‘এই পরিস্থিতিতে জলাশয় ও জলাভূমির সংরক্ষণ করা একান্তই প্রয়োজন। কারণ ভারতের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে শহরের উপরে। দ্রুতহারে নগরায়ণ শুরু হয়েছে এখানে। ফলে ভারতের উন্নয়ন ও স্থায়িত্ব তাদের উপরেই বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে’।
সমীক্ষা অনুযায়ী, আগামী দিনে বিশ্বের ৩৫ কোটি মানুষকে ১০০টি শহরের জলের সংকট চরমে ওঠায় ভুগতে হবে। সেখানে একফোঁটা জলও হয়ে উঠতে পারে সোনার মত দামী। বিপদ যেমন আছে তেমনই বিপদ থেকে বাঁচারও উপায় আছে। এই বিপদ থেকে বাঁচার উপায় প্রসঙ্গে গবেষকরা বলছেন, ‘এখন থেকেই যদি আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সঠিক ও কঠোর পদক্ষেপ করা যায় তাহলে এই বিপদ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নগর রূপায়ণ এবং জলাশয় সংরক্ষণ করতে হবে ‘। জনসংখ্যা বৃদ্ধি থেকে শিল্প ও কৃষির চাহিদা বৃদ্ধির মতো নানা বিষয়ের কারণেই এই ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।