করোনার মোকাবিলায় গোটা দেশজুড়ে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জারি থাকবে এই তৃতীয় দফার লকডাউন। এর পরেই শুরু হবে চতুর্থ দফা। প্রায় ৫০ দিন হতে চলল বন্ধ রয়েছে দেশের সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মসংস্থান। চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হওয়ার পর আরও বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকবে সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মসংস্থান। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থমন্ত্রক। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল নগদের জোগান বাড়ানো। এই ব্যবস্থায় আর্থিক প্যাকেজে কিছু সুবিধাও পেল চাকুরীজীবীরা।
কেন্দ্রে তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে ইপিএপ, পিএফে টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে চাকরিজীবীদের। টিডিএসের হারও কমানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ইনকাম ট্যাক্স জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। জুন, জুলাই, অগস্ট মাসে কর্মচারীদের এবং নিয়োগকারীদের বেতনের ইপিএপ, পিএফের অংশের টাকা সরকার দিয়ে দেবে। এরজন্য ২৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এর ফলে ৭২ লক্ষ কর্মচারী উপকৃত হবেন। বিধিবদ্ধ পিএফ কন্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে নিয়োগকারীদের প্রভিডেন্ট খাতে বেতনের যে ১২ শতাংশ চাঁদা দিতে হয় তার পরিবর্তে আগামী তিন মাস বেতনের ১০ শতাংশ দিলেই হবে।
অন্যদিকে যারা নন সেলারি পার্সন, অর্থাৎ যারা সেই অর্থে কোন সংস্থা থেকে নির্দিষ্ট কোনো বেতন পান না, তাদের ক্ষেত্রে কর কেটে নেওয়ার হার কমানো হয়েছে ২৫ শতাংশ। ১৪ মে থেকে ২০২১ এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের জন্য ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই এবং ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর করা হচ্ছে। মূলত বাজারে নগদের যোগান বৃদ্ধি করতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।