করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৪ শে মার্চ থেকে দেশজুড়ে জারি করা হয় লকডাউন। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পর এখন দেশজুড়ে চলছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন কেন্দ্র ও রাজ্যের পক্ষ থেকে দেশের দরিদ্রদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। সেই মতই রেশন পাচ্ছিল দেশের দুঃস্থ দরিদ্র মানুষরা। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল কিন্তু হঠাৎই লকডাউনের মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান জানান, দেশে ৩ কোটি রেশন কার্ড বাতিল বা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর কারণ জানতে চাওয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান বলেন, “রেশন কার্ড ডিজিটাল করার সময় এবং আধার লিঙ্ক করার সময় ৩ কোটি এমন রেশন কার্ড পাওয়া গিয়েছে যেগুলির কোন বৈধ পরিচয় পত্র পাওয়া যায়নি। তাই আমি ঐসব রেশন কার্ড সচিব, রাজ্য এবং বন্টন বিভাগদের নির্দেশ দিয়েছি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। এর পরিবর্তে উপভোক্তাদের নতুন রেশন কার্ড দেওয়া হবে।” এছাড়া তিনি আরো বলেন, “২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বলা হয় রেশন ব্যবস্থার সাথে ৮১.৩৪ কোটি মানুষের সংযোগ থাকা দরকার, কিন্তু এখনো পর্যন্ত যুক্ত হয়েছেন ৮০.৯৫ কোটি মানুষ। এর ফলে বাকি ৩৯ লক্ষ মানুষ যারা এখনও রেশন ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হতে পারেননি তাদেরকে যুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে মাঝে মাঝেই চিঠি পাঠানো হয়। তারাই ওই সকল মানুষদের চিহ্নিত করে সংযুক্ত করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান এদিন জানান, “দেশের যেকোনো জায়গায় নিজের অধিকারের রেশন পাওয়ার জন্য আগামী ১লা জুন থেকে দেশের ২০টি রাজ্য নিয়ে চালু হচ্ছে ‘এক ন্যাশন, এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থায় গত জানুয়ারি মাসে ১২টি রাজ্য ও এপ্রিল মাসে ৫টি রাজ্য যুক্ত হয়ে গেছে। বাকি তিনটি রাজ্যের যুক্তর কাজ চলেছে।” রেশন কার্ড বাতিলের পর আপনি যদি দেখেন ন্যায্য দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও আপনার কার্ড বাতিল হয়েছে তবে আপনাকে সংশ্লিষ্ট খাদ্য দপ্তরের অফিসে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনার বাতিল হওয়া রেশন কার্ড ও আধার কার্ড দেখাতে হবে। সেগুলি যথাযথভাবে সংযুক্ত করুন এরপরে আপনাকে নতুন রেশন কার্ড দেওয়া হবে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে আধার কার্ড লিঙ্ক করা একান্ত জরুরি। লিংক না করার কারণেও অনেক কার্ড বাতিল করা হয়েছে।