সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় বাস করেন প্রচুর মানুষ । বাঁধের উপর দিয়েই তাদের সারাবছর যাতায়াত করতে হয়। তাই কোনোরকম সমস্যা বা এমার্জেন্সী পরিস্থিতিতে চলাচল তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের বিষয়। এরকম এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে এক মা কে। ধরিত্রীর বুকে অরণ্যের কোলেই জন্ম দিয়েছে সন্তানের। আমফান বিধ্বস্ত সুন্দরবনের মাঝ নদীতে নৌকায় সন্তান প্রসব। বিদ্যাধরীর বুকে মাতৃত্বে অভিষিক্তা ঝর্ণা। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে গোসাবা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বালিয়ে 9 নম্বর গ্রামের বাসিন্দা ঝরনা মন্ডল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। গোসাবা আর ক্যানিং এর মাঝে বিদ্যাধরী নদীর অবস্থান। ঝরনাকে নিয়ে বোটে সওয়ার হন তার তিন আত্মীয়।
কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগেই নৌকাতেই সন্তান প্রসব করার ঝরনা। সন্তান প্রসবের পর নৌকা ফিরিয়ে ঘাটে লাগানো হয় এবং গোসাবা গ্রামীণ হাসপাতালেই পুনরায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক দুজনই ভালো আছে।
প্রান্তিক সুন্দরবনের দ্বীপ এলাকাগুলোতে বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পৌঁছানোর বরাবরই একটা চ্যালেঞ্জ। এমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে তা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশাসনের উদ্যোগে আগের চেয়ে পরিস্থিতি বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এছাড়াও বিএমওএইচের নেতৃত্বে আসন্ন প্রসবাদের track করে আশাকর্মীরা সময়মতো মাদার্স হবে পৌছে দেন।