দেবপ্রিয়া সরকার : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশ জুড়ে বর্তমানে চলছে ২১ দিনের লকডাউন পর্ব। আগামী ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত জারি রয়েছে এই লকডাউন। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজ অর্থাৎ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিলেন যে ১৪ ই এপ্রিল লকডাউন শেষ করা সম্ভব হবে না। সর্বদলীয় বৈঠক এমনটাই জানিয়েছে মোদি। তুমি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের সাথে আলোচনা করবেন এই বিষয়ে। তবে তিনি এ কথাও বলেছেন যে, এত তাড়াতাড়ি লকডাউন ওঠানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “COVID-19-এর পরে জীবন আর আগের মতো হবে না, হয় তা প্রাক-করোনা এবং উত্তর-করোনো হবে।” প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে রাজনৈতিক নেতাদের জানান, “ব্যাপকভাবে আচরণমূলক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত পরিবর্তন সাধন করতে হবে।” সারাদেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,১৯৪ জন। যার মধ্যে মারা গিয়েছে ১১ জন। করোনা সংক্রমণ এখনও যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে লকডাউন এখনই বন্ধ হবে কিনা সে বিষয় স্পষ্ট নয়। তবে লকডাউন বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। লকডাউন এর সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই সপ্তাহের শেষে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের সাথে ভিডিও কলে কনফারেন্সে দ্বিতীয় বৈঠক করবেন। সারা বিশ্বের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের বহু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছে। দেশের এমন পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি সংকটে রয়েছে সমাজে দৈনন্দিন খরচ শ্রেণীর মানুষ। বিবেচনা করে রাজ্যে ফুলের বাজার মিষ্টির দোকান প্রভৃতি চালু করার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জরুরী কালীন অবস্থায ছাড়া দোকানপাট, বাজারহাট, স্কুল-কলেজ সব কিছু বন্ধ রয়েছে এই মুহূর্তে। অপরাধী পরিষেবা গুলো চালনা করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এই সমস্ত স্থানগুলি আরও কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে।
দেশের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পরিষেবাও চালু হবে না আপাতত। দেশের সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব কিনা সেই বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধি এবং পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিরোধী নেতাদের ফোন করেন। এই বিষয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল এবং প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও এইচডি দেবেগৌড়ার সঙ্গেও কথা বলেছেন মোদি। সেই ভিডিও কনফারেন্সে যোগদান করেছেন কংগ্রেসের গোলাম নবী আজাদ, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত।