ভারত-চীন উত্তেজনার কারণে গত সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে টিকটক 59 টি অ্যাপ এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আর এমন পরিস্থিতিতে দিল্লির রাস্তায় প্রায় দেড় লক্ষ সিসিটিভি ইনস্টল করা হয়েছে আর এই বিপুল সংখ্যক সিসিটিভির কেনা হয়েছে এক চীনা সংস্থা থেকে। স্বভাবতই তা নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে যে দিল্লির বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি যাচ্ছে।
দিল্লির বাসিন্দাদের নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে আপ সরকার এই উদ্যোগ নেন। চিনা সংস্থান হিকভিশন এর কাছ থেকে কেনা হয়েছিল এটি। তারাই এই সিসিটিভি তৈরি করার পাশাপাশি ইন্সটল করার দায়িত্বে ছিলেন। এই সিসিটিভি ফুটেজ দেখার জন্য প্রত্যেক দিল্লিবাসীকে ফোনে ওই সংস্থার একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। আর বিপদের ভয় টা ঠিক এখান থেকেই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন শুধু সংস্থার কর্মকর্তারা নন এই অ্যাপে নজরদারি চালাতে পারেন চিনা প্রশাসন থেকে লালফৌজও। কারণ এর মূল সার্ভার রয়েছে চীনে ফলে দিল্লির কোন রাস্তায় কখন কি হচ্ছে তা একেবারেই তাদের নখদর্পনে থাকছে।
দিন কয়েক আগেই আমেরিকায় Hikvision থেকে কোন সরকারি প্রকল্পের পণ্য কেনা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ডোনাল ট্রাম্প। কারণ এখানে চীনা সেনা নজরদারি চালাই। আর সেই সংস্থা থেকেই সিসিটিভি কেনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপা উত্তোরন। আপ সরকারকে বিঁধেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বর্ষীয়ান নেতা শাহেনওয়াজ হুসেন বলেন কেন চিনে তৈরি সিসিটিভি দিল্লির রাস্তায় বসানো হল ,কেজিরিওয়াল সরকারকে উত্তর দিতে হবে। একইসঙ্গে ক্যামেরাগুলি সরিয়ে ফেলার দাবিও জানিয়েছেন। যদিও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি এটা রাজনীতি করা হচ্ছে আমরা কেন্দ্র সরকারের পিএসইউ সংস্থা BEL কে দ্বায়িত্ব দিয়েছিলাম।