নিউজরাজ্য

ভাইপোকে আশ্রয়দানের ফল, নিজের বাড়িতেই ঢুকতে পারছেন না শিক্ষক

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া: নদীয়ার শান্তিপুর শহরের 16 নম্বর ওয়ার্ডের চর সারাগর এলাকায় পঞ্চাশোর্ধ শিক্ষক সহদেব বিশ্বাস তার নিজের বাড়িতে নিজেই ঢুকতে পারছেন না এই মর্মে অভিযোগপত্র দায়ের করে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তার বক্তব্য ছোট থেকেই দাদার বাড়িতে থাকা তাই, ভবিষ্যতে পরিবার নিয়ে থাকার উদ্দেশ্যে 2012 সালে লোন নিয়ে শান্তিপুর 13 নম্বর ওয়ার্ডে হরিদাস দে লেনে একটি বাড়ি কেনেন। ছেলের পড়াশোনার কারণে কল্যাণীতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কল্যাণীতে থাকেন। দুঃসম্পর্কের ভাইপো নেপাল বিশ্বাস এবং তার স্ত্রী মোহর দে বিশ্বাসের অনুরোধে ওই বাড়িতে বিনা ভাড়ায় থাকতে দেন। পরবর্তীতে তার নিজস্ব প্রয়োজনে বাড়ি ছাড়ার কথা বললে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ে, বর্তমানে তিনি নিজের বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না, মোহর দে বিশ্বাসের শ্লীলতাহানি মামলার হুমকির কারণে।

অন্যদিকে নেপাল বিশ্বাস বিজেপির সক্রিয় সদস্য হওয়ায় নানাভাবে ভয় দেখাচ্ছেন তাকে। এসপি সি আই, ওসি প্রত্যেকে লিখিত অভিযোগ জানান ওই শিক্ষক। অন্যদিকে মোহর দে বিশ্বাস সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান “ওই পুরনো বাড়িতে তিনি বেশ কিছু টাকা খরচ করেন বসবাসের উপযোগী করে তোলার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ করেন, এমনকি বাড়ি ভাড়ার জন্য নিয়মিত কিছু টাকা উনার ছেলের একাউন্টে পাঠিয়েছেন। আইনি নির্দেশে সুবিধাজনক সময় পেলে নিশ্চয়ই বাড়ি ছেড়ে দেবেন। তবে পিতৃতুল্য একজন সম্মানীয় শিক্ষক বাড়ি বিক্রির নাম করে প্রায়ই বাড়িতে এসে যে ভাষায় কথা বলেন তা প্রতিবেশীরা জানেন”.

সহদেববাবু আক্ষেপ করে বলেন, “প্রতিবার বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালেও নির্দিষ্ট সময় জানাননি কোনদিনই! সারা চাকরির জীবনে মাসে আটহাজার টাকা লোনের কিস্তি দেওয়া কেনা আমার বাড়িতে আমি থাকতে পারবো না? বিশিষ্ট সমাজকর্মী মোহর দে বিশ্বাসের কাছে প্রশ্ন, এটা কোন সামাজিকতার নিদর্শন! নাকি গৃহহীন দের আশ্রয়দানের সাজা? নাকি নেপাল বিশ্বাসের রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার?”

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles