আজ মঙ্গলবার, সকাল ১০ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ভাষণে দেশে করোনা মোকাবিলায় বিশেষ কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন ৩ মে পর্যন্ত।মোদির এই ঘোষণার পর থেকেই অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে যেখানে অনেক রাজ্যের সরকার ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন জারি করেছে সেখানে ৩ মে পর্যন্ত কেন লকডাউন ঘোষণা করলেন মোদি? কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের মতে এর পিছনেও বেশ কয়েকটি কারণ আছে।
অনেক ভাবনা চিন্তা করেই লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ৩০ এপ্রিলের পরের দিন মে দিবসের ছুটি। তার পরের দুদিন অর্থাৎ ২ মে এবং ৩ মে যথাক্রমে শনিবার ও রবিবার পড়েছে। অর্থাৎ ৩০ এপ্রিলের পর তিনদিন পরপর ছুটি। সাধারণ মানুষ এতদিন ঘরবন্দি থাকার পর মে দিবস সহ বাকি দুই ছুটির দিনে রাস্তায় বেরোবে তার সম্ভাবনা প্রবল। আর এত মানুষ একসাথে জমায়েত হলে করোনার আক্রমণ বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকছে। সেইদিকে বিচার করেই প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আজ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩ মে পর্যন্ত দেশ জুড়ে লকডাউন জারি থাকলেও ২০ এপ্রিলের পর থেকে কিছু জায়গায় লকডাউনে ছাড় দেওয়া হতে পারে। আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত সমস্ত হটস্পট সহ সারাদেশে নজর রাখা হবে। পরিস্থিতি বুঝে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের লকডাউন বাড়ানোর আগেই ওড়িশা, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছে।