প্রীতম দাস : নিজামুদ্দিন মসজিদ এর ঘটনার পর গোটা দেশে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বলাবাহুল্য সংক্রামক ব্যাধি নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেবার জন্য দেশের অন্যতম হটস্পট দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাবলীগী জামাত আয়োজিত ধর্মীয় সমাবেশে এ রাজ্যের কতজন অংশগ্রহণ করেছিল তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন এ ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না। এই ইস্যুতে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধীরা মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলেছেন।
দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই ধর্মীয় সমাবেশে বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহণকারী নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। শুধু তাই নয় ভারতের মোট নোবেল করনা ভাইরাসে আক্রান্তদের এক-তৃতীয়াংশ তাবলীগী জামাতের সঙ্গে জড়িত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি তথ্য প্রকাশ করে বলেন যে , কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে জানিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭১ জন মানুষ দিল্লির নিজামুদ্দিন অঞ্চলের মসজিদে গিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, রাজ্য সরকার তাদের মধ্যে ৫৪ জনের সন্ধান পেয়েছে। এর মধ্যে চল্লিশ জন বিদেশি, তারা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার থেকে এসেছিলেন এবং তাদের সবাইকে কলকাতায় কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে। কিন্তু এরপর এই বিষয়ে আর কোন নতুন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। যার ফলে বিরোধীরা এই বিষয়টি হাতিয়ার করে সরকারের দিকে প্রশ্নচিহ্ন তুলছেন।