ঠাকুর বাড়ির ছোট্ট রবি থেকে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! চমকে দেওয়ার মতো তার জীবন কাহিনী
“আজি মোর
জন্মের স্মরণ পূর্নবাণী ….
দ্বারে আসি দিল ডাক
পচিশে বৈশাখ।”
আজ সেই রবির জন্মদিন যার কোনো অস্ত নেই…মানুষের মনে, মানুষের জীবনে সর্বদা উদীয়মান। জীবনের প্রতিটি অঙ্গে এই রবি ছাড়া অচল সে মনখারাপী দিনে তার গান বা প্রথম প্রেমে তার কবিতা। জন্ম, মৃত্যু বিরহ, শোক, প্রকৃতি, সৌন্দর্যচেতনা, আধ্যাত্মবোধ, ঈশ্বর থেকে অরূপের সাধনা সর্বক্ষেত্রে তিনি বিরাজমান। কবিগুরুকে জানতে এক জনম কম পড়ে যায় তিনি সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় উপশাখায় জুড়ে রয়েছেন। ছোট্ট রবি কি করে কবিগুরু হয়ে উঠলেন তা যেন এক বিস্ময়।
তিনি জন্মেছিলেন কলকাতায় জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের শৈশবে ইমাকে হারিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ বাবার সান্নিধ্য খুব একটা পাননি। শৈশব কেটেছিল বাড়ি ভৃত্যদের কড়া শাসনে। আর ওই বাড়ির একটি জানলা থেকে প্রকৃতির রূপ রস আস্বাদন করতেন তিনি, পড়ার চেয়েও কাছে টানত প্রকৃতির সৌন্দর্য। মাত্র আট বছর বয়স থেকে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন তিনি। 11 বছর বয়সে বাবার সঙ্গে বেরিয়েছিলেন ভ্রমণে লেখাপড়ার সাথে দেখার মিল ঘটিয়ে দিয়েছিল এই ভ্রমণ যার ফলে তার লেখায় বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছিল।
এরপর থেমে থাকেনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌঁছে দিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়, বিশ্ব দরবারে চিনিয়েছিলেন বাংলা ভাষাকে। 52 টি কাব্যগ্রন্থ, 38 টি নাটক, 13 টি উপন্যাস, 36 টি প্রবন্ধ, ছোটদের অসংখ্য ছড়া, গল্পগুচ্ছ, অন্যান্য গ্রন্থ সংকলন, গান, একটা মানুষ নিজের জীবদ্দশায় এতকিছু সৃষ্টি করে যেতে পারেন তা বিশ্বাস করা যায়না। যা আজও আমাদের গর্ব , চিরনতূন। এমন কোনো জিনিস যে যা তার অভিধানে নেই.. সুরস্রষ্টা ব্যাকরণবিদ শিল্প-সমালোচক দার্শনিক সমাজ সংস্কারক শিক্ষাবিদ সর্বক্ষেত্রে তার অবদান রেখে গেছেন।
জমিদার হয়েও দেশের অখ্যাতও দীনদুখী দুর্বল অসহায় মানুষগুলোর সঙ্গে তিনি কতখানি একাত্মবোধ হতে পেরেছিলেন তার প্রমান তার রচনা, পল্লী গ্রামের দুঃখ দৈনতা চিরে চিরে দেখিয়েছিলেন।তাদের পাশে সবসময় দাড়িয়েছিলেন।তাই তিনি মানবতার কবি, কবিগুরু, বিশ্বকবি –
“হে নতূন দেখা দিক আর বার জন্মের প্রথম শুভক্ষন
তোমার প্রকাশ হোক, কুহেলিকা করি উদঘাটন সূর্যের মতোন।”