দেশনিউজ

টিকটক ব্যান নিয়ে কেন্দ্রকে দূষলেন নুসরত, টেনে আনলেন প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের কথা!

Advertisement
Advertisement

কদিন ধরেই সীমান্তে উত্তেজনার পারদ ক্রমবর্ধমান। চীনের আগ্রাসন বন্ধ করতে চীনের সাথে একাধিকবার সমঝোতার কথা বলা হলেও চীন আগ্রাসন থেকে সরার নাম নেইনি। এইসময় অনেক তাবড় তাবড় সেলিব্রেটি সহ দেশের একাংশ আমজনতা চিনা পণ্য বয়কটের দাবি তোলেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই বিষয় নিয়ে অনেক চর্চা দেখা গিয়েছে। ভারত এই প্রেক্ষাপটে চীনকে ডিজিটাল বয়কটের মাধ্যমে প্রত্যাঘাত করলো। গত ২৯ শে জুন ভারতে ব্যান করা হয়েছে ৫৯টি চিনা মোবাইল অ্যাপ।

টিকটক সহ ৫৯ টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। হ্যালো,ইউসি ব্রাউজারের মতো অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপের তালিকায় স্থান পেয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত, কেন্দ্রের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা সোমবার রাতে জারি করা হয়েছে। এই চিনা অ্যাপগুলো তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯ ধারায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই অ্যাপগুলোর মধ্যে টিকটক ভারতে বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। বহু মানুষ তাদের সুপ্ত প্রতিভাগুলো প্রকাশ্যে নিয়ে আসছিল এই অ্যাপের মাধ্যমে। এই অ্যাপে অ্যাকাউন্ট ছিল বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা সংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান এর। তাদের দুজনেরই টিকটক অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার্স এর সংখ্যা লক্ষাধিক।

Tiktok সহ বাকি চিনা অ্যাপগুলো ব্যান করার বিষয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন নুসরত জাহান। তিনি বলেন, টিকটক যদি দেশের স্বার্থে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে আমি তার পুরোপুরি সমর্থন করছি। কিন্তু আমার প্রশ্ন একটাই, আমরা যদি কয়েকটি অ্যাপ বর্জন করি তাহলে কি ভারত- চিন এই সমস্যার সমাধান সম্ভব? চিনা পণ্য বা এইসমস্ত চিনা অ্যাপগুলোর মাধ্যমে রোজগার করে যাদের পেট চালাতো তাদের জন্য কি ব্যাবস্থা করেছে সরকার? প্রধানমন্ত্রীর চিনসফরের কি ফল হলো তাহলে?

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles