এখন করোনা আতঙ্কে গোটা দেশ তোলপাড়। নিউজ চ্যানেল থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সব জায়গায় শুধু পোস্ট করোনা প্রসঙ্গে। এরমধ্যেই ফেসবুক এর একটি পোস্ট খুব ভাইরাল হয়েছে। একজন বিএসএনএল কর্মী নিজের দেহের কিডনি বিক্রি করার ইচ্ছা প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। যা ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
আমরা সকলেই জানি মানবদেহের অঙ্গপ্রতঙ্গ বিক্রি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সকলের প্রশ্ন তাহলে তিনি এমন পোস্ট করার কারণ কি? তার কারণ হল সঞ্জিত অধিকারী নামে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার এই ব্যাক্তির বাড়ির আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে দুবেলা কি করে তাদের পেট চলবে তা জানেন না।
এই ব্যাক্তি চোখভেজা করুন কণ্ঠে বলেন, ‘‘জানি কিডনি বিক্রি করা বা কেনা দুটোই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু আমি এখন কি করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা। দীর্ঘ এক বছর ধরে মাইনে পায়নি। বাবার ওষুধ কেনার জন্য লোকের কাছে হাত পাততে হচ্ছে, সন্তানের জন্য দুধ কিনতে পারছিনা। জল বিস্কুট খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। স্ত্রীর সমস্ত গয়না বন্দক নয়তো বিক্রি করতে হয়েছে। আপনারাই বলুন এরকম স্বামী, বাবা বা সন্তান হয়ে আমার বেঁচে থেকে কি লাভ।”
শুধু বিএসএনএল না বেঙ্গল সার্কাসের কয়েক হাজার ঠিকাকর্মী দীর্ঘদিন ধরে বেতন পায়নি। শুধু বেতন নয়, পিএফ, ইএসআই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তারা কাজ করে চলেছে। বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, ঠিকাকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি তাদের সংস্থার কোনও সম্পর্ক নেই। তাই এর দায় পুরোটা তাদের না। সঞ্জিৎবাবু বলেন, “আমরা এখন না ঘরকা, না ঘাটকা। তাই বোধহয় মৃত্যুই শ্রেয়। অথবা কিডনি বেচে যতদিন বেঁচে থাকা যায়। বাঁচিয়ে রাখা যায় পরিবারকে। বেঁচে থাকলে তবেই না আইন!”