দেবপ্রিয়া সরকার : করোনার আক্রান্তে তটস্থ সারা বিশ্বের মানুষ। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী সারাদেশ জুড়ে লকডাউন জারি করেছেন আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। চারিদিকে এত দুর্যোগ তারমধ্যে নতুন অথিতির আগমনে মুখে হাসি ফুটল দিল্লির এক পরিবারের। নবজাতকটি জন্ম নেওয়ার আগে বাবা তার বাবা-মা থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা পর্যন্ত চিন্তায় ছিল। কারণ গর্ভবতী মহিলা ও তার স্বামী দুজনেরই COVID-19 পজেটিভ। তাই গর্ভবতী মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়ে দিল্লির এইমস হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে।
সন্তান জন্মানোর পর তারও কি করোনা পজেটিভ হবে? এই চিন্তায় তটস্থ ছিল বাবা-মা সহ ওই হাসপাতালে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরাও। কিন্তু সন্তান জন্মানোর পরে সমস্ত চিন্তার অবসান ঘটিয়ে বর্তমানে হাসি ফুটেছে সকলের মুখে। শুধুমাত্র যে নবজাতকের জন্মতেই সকলের মুখে হাসি ফুটেছে তা নয়, মিরাকেল ঘটিয়ে করোনা পজেটিভ বাবা-মায়ের কোলে সদ্যজাত জন্মানো সন্তান করোনা নেগেটিভ। শুক্রবার গভীর রাতে নবজাতকটি সম্পূর্ণ সুস্থ ভাবে জন্মগ্রহণ করেছেন। তারপরই সকলের সমস্ত চিন্তার অবসান হয়ে মুখে হাসি ফুটেছে। গোটা দেশ করোনা আক্রমণের জর্জরিত। বাদ যাচ্ছেননা চিকিৎসকরাও। এখনো পর্যন্ত করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে ৫০ জনের বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত শুক্রবার জন্মানো সদ্যজাত শিশুটির বাবা-মা দুজনেই পেশায় চিকিৎসক। করোনার চিকিৎসা করতে গিয়েই তাঁদের শরীরে তাঁদের অজান্তেই বাসা বেঁধেছে করোনাভাইরাস। এই ঘটনার পর সেই নয় মাসের গর্ভবতী মহিলা চিকিৎসক চিন্তায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা নিজেরা ছাড়াও অন্যান্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকরাও ধারণা করেছিল যে শিশুটি হয়তো শরীরে জীবাণু নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে। কিন্তু সেই সকল ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণিত করে শিশুটির সম্পূর্ণ সুস্থ ভাবে জন্মগ্রহণ করেছে, এটাই স্বস্তির। শিশুটিকে জন্ম দেওয়ার পর বাবা-মা দুজনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এই দু’জনকে নিয়ে দিল্লিতে এখনো পর্যন্ত মোট ৯ জন চিকিৎসকের দেহে COVID-19 পজেটিভ।