দিল্লী: অদৃশ্য অজানা ভাইরাস করোনা মারন কামর বসিয়েছে রাজ্যজুড়ে। মারাত্মক এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন। তবে, লকডাউন হলেও থেমে থাকেনি কাজ। মূলত কঠিন পরিস্থিতিতে ‘work-from-home ‘বেছে নিয়েছিল টেলিকম দফতর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। এখনো আয়ত্তে আসেনি করোনা তাই ‘work-from-home’র সময়সীমা বাড়ালো টেলিকম দফতর।
করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সরকারের কাছে আর্জি জানায় স্থায়ীভাবে কর্মীরা যাতে বাড়ি থেকে কাজ করতে পারে সেই ব্যাপারে ছাড় দিতে যাতে কোম্পানিগুলো তাদের রিয়েল এস্টেটকে অপটিমাইজ করতে সক্ষম হয়। এরপর এই সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।করোনা অবহে প্রথমে টেলিকম দফতর তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মেয়াদ ছিল ৩১ জুলাই পর্যন্ত। তবে, ক্রমাগত সংক্রমণ বাড়ায় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজের ব্যাপারে এই ছাড়ের সময়সীমা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হল। বলে রাখা ভালো,গত মার্চ মাস থেকে করোনা আটকাতে লকডাউন জারি হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের ৪.৩ মিলিয়ন কর্মীর ৯০ শতাংশ অফিসের বদলে বাড়ি থেকে কাজ সামাল দিতে হয়।
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সরকারের কাছে আর্জি জানায় স্থায়ীভাবে কর্মীরা যাতে বাড়ি থেকে কাজ করতে পারে সেই ব্যাপারে ছাড় দিতে, যাতে কোম্পানিগুলো তাদের রিয়েল এস্টেটকে অপটিমাইজ করতে সক্ষম হয়। অফিস ও বাড়ি এই সংমিশ্রণে কাজ করে এগিয়ে যেতে পারে।
এই প্রসঙ্গে ন্যাসকমের সভাপতি দেবযানী ঘোষ টুইট লেখেন, ‘সমর্থন জোগানোর জন্য টেলিকম দপ্তরের সচিব আর এস প্রসাদকে ধন্যবাদ। এই ব্যবস্থা নিশ্চয়তা দেবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাজ চালিয়ে যেতে এবং কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে। এই পদ্ধতিতে টায়ার টু এবং টায়ার থ্রি শহরে শহর থেকে মেধা টেনে নেওয়া যাবে’।
উইপ্রো চেয়ারম্যান ঋষদ প্রেমজি টুইট করে লেখেন,’প্রথম দিন থেকে নতুন কাজের পদ্ধতিকে রীতিমত সমর্থন জানানোর জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এটা আমাদের ভীষণভাবে সাহায্য করেছে দাঁড়াতে এবং গোটা বিশ্বের কাছে সাড়া দিতে’।