লকডাউন দেশ! হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাবহারকারীদের বাড়ছে বিপদ!

দেবপ্রিয়া সরকার : করোনা ভাইরাসের জেরে গোটা দেশজুড়ে চলছিল। শুধু ভারত নয়, ভারতের বাইরেও বেশ কিছু দেশে জারি হয়েছে লকডাউন। সাধারণভাবে বাড়ি থেকে বেরোনো একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে সকলের। ধু ধু করছে রাস্তাঘাট। যেন জনমানবহীন এক অন্য পৃথিবী। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ রাখার একমাত্র ভরসা স্মার্ট ফোন। দেশের এমন দুর্যোগে প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ রাখতে বেশিরভাগ মানুষই বেছে নিয়েছে স্মার্টফোনে থাকা একটি অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এটি একটি ম্যাসেজিং প্লাটফর্ম। এখানে ম্যাসেজিং ছাড়াও ভয়েস কল এবং ভিডিও কলেরও সুবিধা রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই মেসেজিং প্লাটফর্ম হ্যাকারদের বাড়ন্তও বৃদ্ধি পেয়েছে। লকডাউনের জেরে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা।
‘সোশ্যাল হ্যাকিং’এর মাধ্যমে হ্যাকাররা দখল নিতে পারে আপনার অ্যাকাউন্টে। ‘সোশ্যাল হ্যাকিং’ কি এটা হয়তো অনেকেই জানেন না। সোশ্যাল হ্যাকিং হল আগে থেকে হ্যাক হওয়া একাউন্ট কে কাজে লাগিয়ে সেই ব্যক্তির বন্ধু ও প্রিয়জনদের হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়। ধরুন হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা সেই ব্যক্তি বন্ধুরা প্রিয়জনদের মেসেজ করে জানায় কোন অজ্ঞাত কারণে নিজের ফোনে মেসেজ ঢুকছে না তাই দ্বিতীয় ব্যক্তির ফোনে একটি নম্বর পাঠানো হয়েছে।
ওই নম্বরটি আসলে ৬ ডিজিটের একটি ওটিপি। হ্যাকার ওই দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছে সেই নম্বরটি পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। দ্বিতীয় ব্যাক্তিটি কখনোই বুঝতে পারে না যে তিনি হ্যাকার এর সাথে কথা বলছেন। ফলে সহজেই বিশ্বাস করে দ্বিতীয় ব্যাক্তিটি ওই নাম্বারটি হ্যাকারদের পাঠিয়ে দেয়। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। ২০১৮ সালে প্রথম ‘সোশ্যাল হ্যাকিং’ ধরা পড়ে। সম্প্রতি এই সমস্যা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। লকডাউনের জেরে যে সময় সাধারণ মানুষদের প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ রাখার একমাত্র ভরসা হোয়াটসঅ্যাপ, ঠিক তখনই হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকাররা পুনরায় অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে।