নিউজ বিনোদন ভাইরাল ভিডিও অর্থনীতি লাইফস্টাইল অফবিট খেলা রাজনীতি

লকডাউনে একই মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো ‘করোনা’ আর ‘কোভিড’!

দেবপ্রিয়া সরকার : বর্তমানে সারাবিশ্বে মহামারী সৃষ্টি করে সমস্ত কিছু ছারখার করে দিচ্ছে করোনা ভাইরাস। গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মানুষ। ২০৪ টি দেশ বর্তমানে করোনার কবলে। দেশের এই অবস্থার মধ্যে ছত্রিশগড়ের রায়পুরের দম্পতি জন্ম দিল যমজ সন্তানের।

Published By: Sangbad Safar Desk | Updated:

দেবপ্রিয়া সরকার : বর্তমানে সারাবিশ্বে মহামারী সৃষ্টি করে সমস্ত কিছু ছারখার করে দিচ্ছে করোনা ভাইরাস। গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মানুষ। ২০৪ টি দেশ বর্তমানে করোনার কবলে। দেশের এই অবস্থার মধ্যে ছত্রিশগড়ের রায়পুরের দম্পতি জন্ম দিল যমজ সন্তানের। দেশের দুর্যোগে সন্তান জন্ম নেওয়া মা-বাবা আদর করে তাদের নাম দিয়েছে করোনা ও কোভিড। রায়পুরের একটি সরকারি হাসপাতালে ২৭ শে মার্চ সুস্থ ও সফলভাবে জন্ম হয়েছে ওই যমজ সন্তানের। ওই দম্পতি তাদের সদ্যজাত মেয়ের নাম রেখেছে ‘করোনা’ এবং ছেলের নাম রাখা হয়েছে ‘কোভিড’। এমন নাম রাখার কারণ জানতে চাওয়ায় ওই দম্পতি জানিয়েছেন, সন্তান প্রসবের আগে তাদের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তা মনে করিয়ে দেবে সন্তানদের এই নাম।

আপনার জন্য নির্বাচিত

তবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বদল করে সন্তানদের নাম পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই দম্পতি। ওই দুই নবজাতকের মা প্রীতি ভার্মা জানিয়েছেন, ‘সারাদেশ জুড়ে লকডাউন চলায় প্রসবের আগে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদেরকে। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে অবশেষে সুস্থভাবে জন্ম নিয়েছে আমাদের সন্তান, যাদের মধ্যে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। তাদের জন্মের সময়টি স্মরণীয় করে রাখতে এমন মজার নামকরণ করেছেন আমার স্বামী’।

দেশের এমন সংকটকালীন সময় ডেলিভারিতে কোন রকম অসুবিধা হয়েছে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে প্রীতি ভার্মা বলেন, “২৬ মার্চ গভীর রাতে আমার হঠাৎ প্রবল লেবার পেন শুরু হয় এবং কোনওরকমে ১০২ মহতরী এক্সপ্রেস সার্ভিসের অধীনে পরিচালিত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন আমার স্বামী। লকডাউনের কারণে রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিষেধ ছিল বলে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ আমাদের থামায়, কিন্তু তারপর আমার অবস্থা দেখে আমাদের যেতে দেয় তাঁরা। কিন্তু অত রাতে হাসপাতলে কাউকে পাব কিনা সে চিন্তা হচ্ছিল কিন্তু সৌভাগ্যবশত চিকিৎসক এবং হাসপাতালে অন্যান্য কর্মীরা খুব সহযোগিতা করছেন। যার কারণে ডেলিভারিতে কোন রকম অসুবিধা হয়নি”। হাসপাতালে পৌঁছানো মাত্রই আমার অবস্থা বুঝে সিজার করার সিদ্ধান্ত নেয় চিকিৎসকরা। এরপর ৪৫ মিনিটের মধ্যে সুস্থভাবে আমার দুই সন্তান। ডাঃ বি আর আম্বেদকর মেমোরিয়াল হাসপাতালে জন্ম হয়েছে ওই দু’জনের।