সরকারি ঘোষণা, লকডাউনের মাঝেই ইট ভাটায় শুরু হলো কাজ

লকডাউনে গৃহবন্ধী থাকাই একমাত্র ঔষধ করনা মহামারীতে। সন্তানের মঙ্গলার্থে মাকে যেমন কঠোর হতে হয়, তেমনই সুদক্ষ প্রশাসক হিসেবে আন্তরিকতা মায়া মমতা ভুলে কঠোর হতে হয়,এমনটাই মনে করেন অনেকে। লক্ষ্ লক্ষ গ্যালন দুধ নষ্ট হওয়া, খাদ্য যোগান রাখতে ব দোকান বাজার খোলা রাখা, ধর্মপ্রাণ মানুষের কথা ভেবে এবং ফুলচাষীদের সুবিধার্থে ফুল বাজার খুলে রাখা, প্রান্তিক মানুষদের 100 দিনের কাজ চালু করা, অবশেষে বিভিন্ন ইঁটভাটায় কাঁচা ইট পোড়ানোর অনুমতি সরকারি তরফে।
একাংশের মত অনুযায়ী প্রত্যেক পেষারই প্রান্তিক মানুষদের অভাব এবং জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি বিচার করলে প্রায় 80% মানুষ কেই লকডাউনের ছাড় দিতে হয়। জীবন নাকি ক্ষিদে? এই দুইয়ের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন সরকারের পক্ষ থেকে। বর্ষা না আসলেও কালবৈশাখী বা ছোটখাটো বৃষ্টিতে ক্ষতি হচ্ছে অনেক কাঁচা ইট। তাই এই ব্যাপক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে ইট পোড়ানোর কাজ সমাপ্ত করার ছাড়পত্র সরকার থেকে।
তবে তা কোনোভাবেই আবার কাঁচা ইট তৈরি করার ক্ষেত্রে নয়। লকডাউন এর ঠিক পরপর ডিএম এর কাছে ইটভাটার সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল নানান সমস্যা ও দুর্গতির কথা। তাই খানিকটা স্বস্তি মিললো তাদের কাছে। কিন্তু বাকি যারা অন্যান্য পেশার ক্ষতি করেও প্রায় এক প্রকার পেটে গামছা বেঁধে লকডাউন এর সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে চলছে , সামাজিক কর্তব্য কি শুধু তাদের? প্রশ্ন থেকে গেলো, চাপা অভিমান এর সাথে।