মানুষের কৃতকর্মের ফল, বদলাতে পারে পৃথিবী! ফিরে আসবে তুষার যুগ

আধুনিক হচ্ছে পৃথিবী, বাড়ছে মানুষের আরামদায়ক দৈনন্দিন জীবন। সুখের আশায় আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক জিনিস তৈরি করছে মানুষ। এরফলে বোঝা চাপছে পৃথিবীর ওপর। দ্রুত বদলে যাচ্ছে জলবায়ু, বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। যার ফলে দিন দিন বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর নিজস্ব চেহারা, প্রভাব পড়ছে বাস্তুতন্ত্রে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এমন ভাবে চলতে থাকলে হঠাৎ করে যেকোন দিন রূপ বদলাতে পারে পৃথিবী। অস্বাভাবিক ভাবে কমে যেতে পারে তাপমাত্রা। যার কারণে ফিরে আসতে পারে তুষার যুগ।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ক্রমশ কমে যাচ্ছে সূর্যের তেজ। ঝিমিয়ে আসছে সূর্য। যার ফলে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে যেকোন সময় ‘হাইবারনেশন’ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্রটি। প্রচুর পরিমানে হ্রাস পেতে পারে সূর্যের তাপমাত্রা। পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারে তুষারের যুগ। ২০১৫ সালে ‘মিনি আইস এজ’-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন নর্থাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ভ্যালেন্টিনা জারকোভা। তিনিই এই সম্পর্কে প্রথম আলোকপাত করেন। তার এই প্রসঙ্গে সেই সময় বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক গবেষক সমর্থন করেছিলেন।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভ্যালেন্টিনা জারকোভা দাবি করেন, খুব শীঘ্রই হাইবারনেশনে যাবে সূর্য। এর ফলে সূর্যের পৃষ্ঠদেশে অপেক্ষাকৃত কম সান স্পট তৈরী হবে। যে কারণে এই নক্ষত্রের তেজ কমবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে এর বিরুদ্ধ মতও রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ২০১৩ ও ২০১৫ সালেও এই রকম এক সম্ভাবনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বিশ্ব। তখন একে ‘লিটিল আইস এজ’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছিল বলে দাবি তাদের।