দেবপ্রিয়া সরকার : চিন ও ইতালির পর বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কবলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে দেশকে রক্ষা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ভারতে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন। এই ওষুধ ব্যবহারে ভারত করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ওষুধ ব্যবহারে প্রচুর করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে গিয়েছে। এই খবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পৌঁছতেই তিনি গত সোমবার অর্থাৎ ৬ ই এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কে ফোন করে ওষুধ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলে।
ট্রাম্পের এই আবেদনের মোদি সাড়া দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও অনেকে বলেছেন যে ট্রাম্পের ওই আবেদনে নাকি হুমকির সুর ছিল। আবেদন করার সময় ট্রাম্প নাকি মোদিকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি ভারত ওই অতি প্রয়োজনীয় হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইনের রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ওষুধের সরবরাহের ব্যবস্থা না করে, তবে এর যথাযোগ্য উত্তর দেবে আমেরিকা। ট্রাম্পের এই আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, COVID-19 মহামারীর প্রভাব সারা বিশ্বে যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা দেখে ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সংহতি ও সহযোগিতা বজায় রাখবে ভারত। তাই করোনা ভাইরাস নিরাময়ে সক্ষম প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হবে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতেও।
তবে এই ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা নিজের দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেই করা হবে। বিদেশমন্ত্রক শ্রীবাস্তব আরো বলেন যে, “গোটা বিশ্বে এই মহামারী যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে , সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ভারত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বেশ কিছু প্রতিবেশী দেশে উপযুক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল এবং হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন সরবরাহ করবে। তবে ভারত শুধুমাত্র এমন কিছু দেশকেই এই প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করবে যারা এই মহামারীতে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সুতরাং আমরা এই বিষয় নিয়ে কোনও জল্পনা হোক বা বিষয়টি নিয়ে কোনও রাজনীতি করা হোক এমনটা চাইছি না”