মঙ্গল গ্রহে মহাসমুদ্র! নাসার তথ্যে উচ্ছাসিত বিজ্ঞানমহল

Advertisement

পৃথিবীর বাইরে হোক বা ভেতর, যতবার প্রানের অস্তিত্ব রয়েছে কথা উঠে এসেছে ঠিক ততবারই মঙ্গলগ্রহের নাম টা যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। মহাকাশ কে নিয়ে চলতেই থাকে নানা ধরনের আবিষ্কার নানা ধরনের গবেষণা। আর সেই আবিষ্কার থেকে উঠে আসে নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ মঙ্গল কে নিয়ে জল্পনা-কল্পনার আমাদের শেষ নেই। আর সেই বহু আবিষ্কারের মধ্যে আরও একটি আবিষ্কার সামনে এলো। মঙ্গল গ্রহে জলের দেখা পাওয়া গেল, ঠিক এমনটাই আবিষ্কার করেছে নাসা। এরিদানিয়ার সমুদ্র গ্রহের দক্ষিণ দিকে থাকবার কারনে জলের দেখা অবশ্যই পাওয়া যাবে এমনটাই মানছে নাসা। মার্সরেকনাইসেন্স অর্বিটার নাসা কে এমন তথ্যই প্রদান করেছে।

Advertisements

ধরা যাচ্ছে যে ,প্রায় 3.7 বিলিয়ন বছর আগে এরিদানিয়ায় সমুদ্র ছিল। সমুদ্রের অন্তরে থাকা হাইড্রোথার্মাল অ্যাক্টিভিটির ছাপ পাওয়া গিয়েছে এমনটাই জানাচ্ছেন নাসার গবেষকরা। এই গবেষণার দ্বারা আরও দেখা গিয়েছে যে, মঙ্গল গ্রহে এক সময় বৃষ্টিপাত হতো এবং জল প্রবাহিত ও হতো। জল গরম হওয়ার কারণে বাষ্পীভূত হয় এবং এই ভাবেই এই জায়গার সৃষ্টি এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গবেষণাগার নাসা থেকে এমনটা আরও জানানো হয়েছে এই বিষয়ে আরও অনেক গবেষণা বাকি রয়েছে।

Advertisements

নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের পল নাইলস জানিয়েছেন যে, এই জায়গা টিতে সমুদ্র থাকবার জন্য উপযুক্ত, কারণ সমুদ্রের অভ্যন্তরে যেমন গভীর জল বিদ্যুৎশক্তির খোঁজ পাওয়া যায় ঠিক এখানেও এমনটাই পাওয়া গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন। প্রাণী বসবাসের উপযুক্ত জায়গার খোঁজ পাওয়া গেছে বলে জানাচ্ছেন। কারণ পৃথিবীর এমন এমন কিছু প্রতিকূল জায়গা রয়েছে যেখানে যেখানে অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং দীর্ঘদিন ধরে জলের অভাব তাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।

আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, এরিদানিয়ায় যে সমুদ্রের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তার আকার খুব একটা ছোট নয়। প্রায় দুই লাখ 10 হাজার কিলোমিটার জুড়ে সমুদ্র থাকবার কথা এমনটাই মনে করছেন। অভ্র এবং কার্বনেটর যেভাবে ছড়িয়ে রয়েছে সেটাতে জল না থাকার সম্ভাবনা কে কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া চলে না। এই গবেষণার দ্বারা লাভার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে এবং সেখান থেকে এটা নিশ্চিত যে এখানে আগ্নেয়গিরির অস্তিত্ব ছিল। এরিদানিয়ার এই সমুদ্র কে ঘেরাএই সমস্ত প্রমান আমাদের কাছে এক অন্য রাস্তা খুলে দিয়েছে, পুরোপুরি সম্ভাবনা রয়েছে মঙ্গলগ্রহের একদম পৃষ্ঠের নীচে প্রাণের অস্তিত্ব অবশ্যই রয়েছে।

Related Articles