ভাল্লুকের পিত্ত দিয়ে করোনার ওষুধ তৈরি করছে চীন! ব্যাপক সাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞান মহলে

দেবপ্রিয়া সরকার : বর্তমানে সারাবিশ্ব জুরে করোনা ভাইরাস যেভাবে ত্রাস সৃষ্টি করেছে তা থেকে রেহাই পেতে লড়াই করছে বিশ্বের ২০৪ টি দেশ। করোনা ভাইরাস এ সারা বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষেরও বেশি এবং মারা গিয়েছে প্রায় ৫২ হাজার মানুষ। এই ভাইরাসে মোকাবিলায় বিশ্বের বেশ কিছু দেশ বর্তমানে লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পার করছে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা নাজেহাল। এই ভাইরাসের সঠিক ওষুধ বা টিকা এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত চিকিৎসাবিদ্যা ম্যালেরিয়া ও এইচআইভির ওষুধের সাহায্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ওষুধ করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থতায় কিছুটা কাজ করছে। কিন্তু তা সত্বেও কমছে না আক্রান্তের ঘটনা। দিন দিন যেন হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
এই পরিস্থিতিতে যখন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না দেশের তাবড় তাবড় চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা, তখন চীনের ভেষজ চিকিৎসা ধারারা গবেষকরা করোনা ভাইরাস চিকিৎসার ‘অব্যর্থ’ ওষুধ পেয়েছে বলে দাবি করেছেন। জানা গিয়েছে তারা করোনার চিকিৎসায় ভাল্লুকের পিত্ত ব্যবহার করছেন। ভাল্লুকের শরীরে ক্যাথারচার বসিয়ে পিত্ত সংগ্রহ করে তা থেকে ওষুধ তৈরি হচ্ছে করোনা প্রতিরোধের জন্য। চীনের এই রূপ ওষুধ তৈরির পদ্ধতি হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে সারাবিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞান মহলে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ভাল্লুকের পিত্তে থাকা এক প্রকার যৌগ উপাদান ‘উর্সোডায়োল’ মৃতপ্রায় কোষকে কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ করে তুলতে সক্ষম। কিন্তু করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই উপাদান কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান মহলে।
China approves use of bear bile to treat coronavirus patients.
Animal welfare groups outraged as move comes just weeks after China banned the sale of wild animals for food, citing the risk of diseases spreading from animals to humans https://t.co/Rldw3vFfTS pic.twitter.com/RCq2Hc3kWJ
— AFP News Agency (@AFP) April 2, 2020
অন্যদিকে ভাল্লুকের পিত্ত দিয়ে ওষুধ তৈরীর এই খবরে পরিবেশবিদদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এমনিতেই চিনে শতাধিক প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মাংস খাওয়ার রীতি বিশ্বজুড়ে চোরা শিকারীদের বেআইনি ব্যবসার পথকেই সুগম করেছে। এরমধ্যে আবার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভাল্লুকের পিত্তর ব্যবহার পরোক্ষ ভাবে বন্যপ্রাণীর চোরা-শিকারের আশঙ্কাই বাড়িয়ে দিচ্ছে সারা বিশ্বে।