whatsapp channel
google news
নিউজ বিনোদন ভাইরাল ভিডিও অর্থনীতি লাইফস্টাইল অফবিট খেলা রাজনীতি
Advertisements

ভারতে বাড়ছে লকডাউনের সময়সীমা! কেন্দ্র সরকারের মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা

দেবপ্রিয়া সরকার : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বর্তমানে সারা দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২৪ শে মার্চ থেকে জারি হয়েছে এই লকডাউন এবং চলবে আগামী ১৪…

Published By: Web Desk | Updated:
Advertisements

দেবপ্রিয়া সরকার : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বর্তমানে সারা দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২৪ শে মার্চ থেকে জারি হয়েছে এই লকডাউন এবং চলবে আগামী ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত। এই ২১ দিনের লকডাউন এর সময়সীমা শেষ না হতে হতে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, দেশের স্বার্থে বাড়তে পারে জাতীয় লকডাউন। দেশের বহু রাজ্য লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকার সেই দিকেই চিন্তাভাবনা করছে বলে সূত্রের খবর।

আপনার জন্য নির্বাচিত

গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার একটি বক্তব্যে জানিয়েছিলেন, মানুষজনকে দীর্ঘ পথের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি মন্ত্রীদের একটি ‘গ্রেডেড প্ল্যান’ করে নিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছিলেন, যেখানে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজ্যের দিশা নির্দেশ করা থাকবে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, যদি লকডাউন এরপর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে তা জাতীয় স্বার্থে নেওয়া হবে এবং সঠিক সময়ে তা ঘোষণা করে দেওয়া হবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত সারাবিশ্বের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একটি সংশ্লিষ্ট দল এই পরিস্থিতির মূল্যায়ন করছে। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এই লকডাউনের পর্ব বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছে। তিনি আরো বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মতামত হ’ল লকডাউনকে আরও দীর্ঘমেয়াদি করা। আমাদের জীবন বাঁচানো দরকার, পরে আমরা অর্থনীতি বাঁচাতে পারবো।” রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, “আমরা অবিলম্বে লকডাউন প্রত্যাহার করতে পারি না, পর্যায়ক্রমে এটি করতে হবে।” অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আমরা লকডাউন প্রত্যাহারের পদ্ধতি কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে রাজ্যের পরামর্শ নিয়েছি। আমরা চাই না যে ১৫ এপ্রিল সকালেই সবকিছু খুলে যাক। আমরা চাই যে এই লকডাউন নিয়ম মেনে এবং বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রত্যাহার হোক যাতে লকডাউনের সতর্কতা-সুবিধা সব একদিনেই নষ্ট না হয়ে যায়।” উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ অবস্থি বলেন, “আমরা তখনই লকডাউন তুলে নিতে পারব যখন আমরা একেবারে নিশ্চিত হয়ে যাব যে রাজ্য করোনামুক্ত হয়েছে। যদি একজনও কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্যক্তি থেকে থাকেন তবে লকডাউন তুলতে খুব অসুবিধা হবে এবং সে কারণেই আমাদের পর্যাপ্ত সময় নিতেই হবে।” গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কল কনফারেন্সে লকডাউন শেষ হওয়ার পরে জনগণের যাতায়াত বা বাইরে বেরনো নিয়ে একটি পরিকল্পনা চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সমগ্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ করে বলেন, “লকডাউনশেষ হওয়ার পরে জনগণের অচলাবস্থা কাটিয়ে বাইরে বেরনো এবং সতর্কতা নিশ্চিত করতে কৌশল অবলম্বন করা জরুরি।”