ভারতে করোনায় আক্রান্ত হবে ৬৭ কোটি মানুষ? স্পষ্ট কারণ প্রকাশ গবেষণায়

করোনা সংক্রমণ নিয়ে বর্তমানে ভারতের পরিস্থিতি অত্যন্ত দুর্বিষহ। ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা সংক্রমনের সর্বাধিক সংখ্যা ছিল ৮৩৮০। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতে ৬.৫ শতাংশ হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ইরান, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি থেকে বেশী। জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ ১ লাখ পেরোনোর পরে ছিল ১.৮২ শতাংশ,ফ্রান্সে ছিল ১.৭৬ শতাংশ, স্পেনে ২.৮৪ শতাংশ ও ইতালিতে ৩.১৭ শতাংশ। তবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার থেকে ভারতের হার আপাতত কম। বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮২ হাজার ১৪৩ এবং মৃতের সংখ্যা ৫১৪৩। আজ ভারতের চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে।
আগামীকাল অর্থাৎ ১লা জুন থেকে শুরু হবে পঞ্চম দফার লকডাউন। এই লকডাউন কথায় লকডাউন হলেও, সেভাবে লকডাউন এর নিয়ম পালিত হবে না। এই সময়ে মানুষ করোনা ভাইরাসকে সাথে নিয়েই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করবে। তবে ভারতের এই সিদ্ধান্ত ডেকে আনতে পারে বড়সড় বিপদ। এমনটা মনে করছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সের চিকিৎসক ও গবেষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, জুলাই মাসে করোনা সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে এবং আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সারাদেশে ৬৭ কোটি মানুষ সংক্রামিত হবে করোনায়। বিজ্ঞানীরা আরো জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে যত জন করোনায় আক্রান্ত হবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের অবস্থাই গুরুতর হবে। অর্থাৎ ৬৭ কোটির মধ্যে মাত্র ৩ কোটি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। বর্তমানে ভারতে করোনা চিকিৎসার জন্য মাত্র ১ লক্ষ ৩০ হাজার বেড আছে।
এই অবস্থায় যদি ৩ কোটি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাহলে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা ক্ষয় হবে তা আগে থেকে আন্দাজ করা টা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। ভারতে যতজন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি, যথা- ৬৫,১৬৮। গত ২৪ ঘন্টা ৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। দেশে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা আক্রান্তে প্রতিদিন নয়া রেকর্ড গড়ছে দেশ। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।