ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘আনফলো’ করার আসল কারণ জানালো আমেরিকা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ৩ সপ্তাহ আগে মার্চের শুরুর দিকে আমেরিকার হোয়াইট হাউস থেকে টুইটারে ফলো করা হয়। কিন্তু তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস মোদিকে আনফলো করে দেয়। এই বিষয়টি নিয়ে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয় কেন্দ্রীয় রাজনীতি মহলে। মোদি ও ট্রাম্পের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে কিনা তা নিয়ে গোপনে গোপনে চলে আলোচনা। কিন্তু এদিন সব উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে ‘আনফলো’ করা নিয়ে যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করল হোয়াইট হাউস।
এদিন আমেরিকার এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, এটাই নিয়ম। হোয়াইট হাউস থেকে শুধুমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের সময় আয়োজক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ফলো করা হয়। সফর শেষ হলেই পুনরায় আবার আনফলো করে দেওয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন অর্থাৎ হোয়াইট হাউস শুধুমাত্র মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন আমলার টুইটার হ্যান্ডেল ফলো করে, এটি অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রনেতাদের ফলো করে না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের পর আয়োজক দেশ কী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে তা জানতে হোয়াইট হাউস শুধুমাত্র কিছুদিনের জন্য ফলো করে তাদের। আয়োজক দেশের প্রতিক্রিয়া রিটুইট করতে সেই দেশের শীর্ষনেতাদের টুইটার হ্যান্ডেল অল্প সময়ের জন্য ফলো করা হয়। পরে প্রয়োজন মিটিয়ে তা আবার আনফলো করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক জড়িয়ে নেই।
এই মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউস টুইটারে ফলো করছে মাত্র ১৩ জনকে। সেই ফলো এর তালিকায় কোনো বিদেশি রাষ্ট্রনেতা নেই। এদিন হোয়াইট হাউস মোদির ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেলের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং রাষ্ট্রপতির দপ্তর-সহ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত মোট ৫টি টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘আনফলো’ করেছে। ব্যাপারটি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে রাহুল গান্ধী। তিনি বিদেশ মন্ত্রককে এই বিষয়টিতে নজর দিতে অনুরোধ করেন। এরপরেই আমেরিকার তরফে আনফলো করার কারণ সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যা পাওয়া গেল।