বিপদে দেশ! গত ২৪ ঘন্টায় মৃত ৪৩, লাফিয়ে বাড়লো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৪ শে মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। প্রথম ধাপের লকডাউন শেষ হয়ে চলছে দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন যা জারি থাকার কথা ৩ রা মে পর্যন্ত। শনিবার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪,৩৭৮, যার মধ্যে ৪৮০ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই দেশে নতুন করে ৯৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গিয়েছে ৪৩ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরিসংখ্যান অনুযায়ী লবণ এর আগে প্রতি ৩ দিন অন্তর দ্বিগুণ হচ্ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে সেটা ৬.২ দিনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা বিশ্বে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে প্রাণহানি হয়েছে ১.৫ লক্ষ মানুষের।
করোনা সংক্রান্ত যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা আবশ্যক:-
১: এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি মুম্বইয়ের ধারাভিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। গতকাল অর্থ্যাৎ শুক্রবার নতুন করে ওই এলাকায় ১৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশের মধ্যে এখন সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত শহর মুম্বই এবং রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি করোনা সংক্রমনের ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। ওই শহরে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২,০৭৩ জন। ১.২ কোটি মানুষের বসবাসের ওই শহরটি গত মাস থেকেই সম্পূর্ণ লকডাউনের মধ্যে রয়েছে।
২ : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিশেষ রিপোর্টে জানিয়েছে, মে মাসের শুরুর দিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার চরম শিখরে পৌঁছতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে সংক্রমনের হার কমে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।
৩ : মুম্বইয়ের ২১ জন নাবিকের শরীরে covid-19 পজেটিভ ধরা পড়ছে। ইতিমধ্যেই ওই নাবিকরা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন সে বিষয়ে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ওই ভারতীয় নাবিকদের মুম্বইয়ের একটি নৌ হাসপাতালে কোয়ারেন্টিন অবস্থায় রাখা হয়েছে।
৪: ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারপর কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। বিশেষ করে শিল্প ক্ষেত্র গুলিতে কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া কৃষি কাজ ও কৃষি বিপণন ব্যবস্থা করলেও একটু একটু করে শুরু করা হবে। এছাড়া অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে
৫: করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কথা শুনে যে রাজ্যগুলির প্রথম থেকে লকডাউনের পথে গেছে সেই রাজ্যগুলি অন্যান্য রাজ্যে তুলনায় অনেক ভালো পরিস্থিতিতে আসে। রাজস্থান, পাঞ্জাব, বিহার প্রথম থেকে লোকজনের মধ্যে দিয়ে যাওয়া সেই রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা অনেক কম। অপরদিকে উত্তর প্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলি করোনার কবলে জর্জরিত।
৬: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে এই রোগমুক্তির হার দাঁড়িয়েছে ১৩.৮৫ শতাংশ, যা শুক্রবার এটি ছিল ১৩.০৬ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ছিল ১২.০২ শতাংশ, বুধবার ছিল ১১.৪১ শতাংশ এবং মঙ্গলবার ছিল ৯.৯৯ শতাংশ। শুক্রবার মোট ২৬০ জন রোগীকে করোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবারও, ১৮৩ জনকে সুস্থ বলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।