বাংলার মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে উৎখাতের ডাক দিলেন বাবুল সুপ্রিয়

বাংলার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুকে ঘিরে প্রথম থেকেই সংঘাত কেন্দ্র ও রাজ্যের। কেন্দ্রে থেকে রাজ্যে যে দল পাঠানো হয়েছিল সেই দলের প্রধান রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা কে চিঠিতে জানান বাংলায় করোনা টেস্ট ঠিকমতো হচ্ছে না। চিঠিতে স্পষ্ট লেখা ছিল যে, দেশের মধ্যে সবথেকে মৃত্যুর হার বেশি বাংলাতে, ১২.৮%। এই বিষয়টিকে ঘিরে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাত আরো বৃদ্ধি পায়। বিজেপি সরকার কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাতের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে টুইট করে। সেই টুইটের প্রসঙ্গ টেনে আজ অর্থাৎ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গণতান্ত্রিক ভাবে উৎখাতের ডাক দেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে লেখেন, “বাংলার মানুষের জন্য যদি কাউকে গণতান্ত্রিক ভাবে উৎখাত করতে হয়, তিনি হলেন রজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হয়েও তিনি বাংলার মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।” কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব একটি সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, করোনা সম্পর্কিত তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে কিছু রাজ্যের তরফ থেকে খামতি রয়েছে। সেই রিপোর্ট সংশোধন হয়ে আসতেই ধাক্কায় করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। যদিও কোন কোন রাজ্যে তরফ থেকে এই খামতি হয়েছিল সেই সম্বন্ধে স্পষ্ট কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অভিযোগের তীর পশ্চিমবঙ্গের দিকে। এরপরেই বিজেপি শিবির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় নামে।
বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে টুইটে লেখা হয়, “বাংলার প্রশাসনিক সরকারের হাতে কোভিড সংক্রান্ত তথ্য থাকা সত্ত্বেও তা জনগণের থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গোপন করা হয়েছে। কিন্তু এই তথ্য বেশিদিন গোপন করে রাখা যায় না, তাই এখন সেই বাংলায় করোনা সংক্রমণের প্রকৃত উৎস সামনে আনুন। কতগুলো নমুনা পরীক্ষা হয়েছে? তা জানান। মৃতের কারণ পর্যালোচনা করে অডিট কমিটির ভূমিকা খর্ব করা হোক।” যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ নস্যাৎ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, “রাজ্যের তরফ থেকে কোনও তথ্য গোপন করা হচ্ছে না। এখানে প্রতি ১০ লক্ষে ১৪ জন সংক্রমিত এবং মৃতের সংখ্যা প্রতি ২০ লক্ষে ৩ জন।”