প্রখর রোদে পুড়ছে শরীর! গাড়ি না পেয়ে টানা ১২ ঘন্টার পথ হাঁটলেন সন্তানসম্ভবা নারী

একটা নারী যা না পারে একটা মা বোধহয় তারচেয়ে দ্বিগুন সহ্য করতে পারে, সব কঠিন কাজ হাসিমুখে করে নিতে পারে। পরনের শাড়ি, প্রখর রোদে পুড়ছে পিঠ, পুলিশের চোখ রাঙানিতে জল আসতে চোখে কিন্তু সব কিছুকে উপেক্ষা করে হনহনিয়ে হেঁটে চলেছেন এক প্রসূতি। করোণা ভাইরাসের প্রভাবে লকডাউন দেশ। তার জেরে বন্ধ সমস্ত যানবাহন তাই হেঁটে বাড়ির পথ ধরেছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। মুম্বাই ও পার্শ্ববর্তী শহর ভিওয়ান্ডি সংযোগকারী রাস্তা ধরে বহু পুরুষ মহিলা এবং শিশুদের হাঁটতে দেখা যায়।
এই ছবি অনেকবার চোখে পড়েছে বুধবারও এর বিরাম ছিল না। তবে এদিন যে ঘটনাটি চোখে পড়েছে তাতে মন ভারী হয়ে ওঠে। মুম্বাইয়ের ঘনসোলী থেকে মহারাষ্ট্রের বুলধনা তাদের গ্রামে কুড়ি জনের একটি দল যাচ্ছিল, সেই দলে ছিলেন 7 মাসের গর্ভবতী মহিলা। অল্প কিছু খাবার নিয়ে পায়ে হেঁটে গ্রামের পথ ধরেছেন তিনি উদ্দেশ্য একটাই বাড়ি পৌছানো।
মঙ্গলবার রাত সাতটা নাগাদ যাত্রা শুরু করেছিল ওই দল। গর্ভবতী মহিলার নাম নিকিতা, তার বক্তব্য টানা 12 ঘন্টার মধ্যে মাত্র একবার বসেছি। শরীরের এই অবস্থায় হাঁটা সিদ্ধান্ত নিলেন কেন এই প্রশ্নের উত্তরের নিকিতা জানান- এখানে থেকে কি করব? খাবার জলের কোন রকম ব্যবস্থাও নেই, পড়ে থাকলে মরতে হবে। পিছনে হাঁটতে থাকা এক ছেলে জানান একবার বর্ষা এসে গেলে বিপদের মুখে পরবো আমরা তখন আরো খাবার পাওয়া যাবে না। এছাড়াও তাদের অভিযোগ পুলিশের কাছে অনুমতি নিতে গেলে মার খেতে হয় তাদের।
এখানে অন্য এক মহিলাকেও দেখা যায় যিনি তার দুই শিশুকে কাধে ও পিঠে নিয়ে হেটেছেন। সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে ট্রেনের ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন তাতে অনেক অপেক্ষা করতে হবে তাই এই সিদ্ধান্ত।