Advertisements

পশ্চিমবঙ্গে বিপদজনক যেসব এলাকাগুলি আলাদা করলো সরকার

Advertisements

করোনা সংক্রমণ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত প্রথম থেকেই। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি রাজ্য ৩ টি জোনে বিভক্ত করা হবে। যথা রেড, গ্রীন ও অরেঞ্জ জোন। সেই মত বাংলাতেও তৈরি করা হয়েছে এই ৩ টি জোন। কিন্তু বাংলায় কতগুলি রেড জোন তৈরি করা হয়েছে? বা অরেঞ্জ ও গ্রিন জোন কটা তৈরি হয়েছে? এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে মতপার্থক্যে জড়িয়েছে নবান্ন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে এই মুহূ্র্তে বাংলার মোট ১০টি জেলা রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই ১০টি জেলা হল- কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং মালদা। এছাড়া ৫ টি জেলা, যথা- হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ অরেঞ্জ জোনের অন্তর্গত বলে উল্লেখ করা হয়। এবং বাকি ৭ টি জেলা গ্রিন জোনের অধীনে বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিভাগীয় তালিকা মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। রাজ্যের সাথে কোনরূপ আলোচনা ছাড়াই কেন্দ্র কিভাবে এই তালিকা তৈরি করতে পারে এই নিয়ে বিস্ফোরিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর পরই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোন কোন জেলা রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনের অন্তর্গত তার একটি পাল্টা তালিকা তৈরি করে প্রকাশ করে। সেই তালিকা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের কাছে প্রতিবাদপত্র হিসেবে পাঠিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব বিবেক কুমার। কেন্দ্রের প্রকাশিত তালিকায় বাংলার ১০ টি জেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও, রাজ্যে সেখানে‌ পাল্টা তালিকা তৈরি করে ৪ টি জেলাকে রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত করেন। সেগুলি হল- কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুর এবং মোট ১১টি জেলাকে অরেঞ্জ জোনের আওতায় রাখেন। গ্রীন জোনে রাখে বাকি ৮ টি জেলা।

Related Articles