নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি দিয়ে জীবন বদলালো পবন জল্লাদের! পেলেন এত টাকা, যা জীবনে কখনো পাননি

দেবপ্রিয়া সরকার : ৫৪ বছর বয়সে নির্ভয়া কাণ্ডের হাত ধরে ফাঁসিতে অভিষেক হল পবন জল্লাদের। প্রথম ফাঁসি দেখা ও ফাঁসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা হয় ২৩ বছর বয়সে। তখন থেকেই এই কাজে লিপ্ত হতে চেয়েছিলেন পবন জল্লাদ। তখন থেকে ফাঁসির বিস্তারিত বিষয়বস্তু হাতে কলমে শেখা শুরু করেন তিনি। নিজের দাদু কালুরামই ছিল তার শিক্ষাগুরু। ১৯৮৮ সালে পাতিয়ালা জেলে দুই দোষী কে ফাঁসি দেওয়ার সময় কালুরাম জল্লাদের সহযোগী ছিলো পবন। সেই দিনই পবনের প্রথম হাতে খড়ি।
ফাঁসি দেওয়া সম্বন্ধে বিস্তারিত শেখার পরেও পেশাদার ফাঁসুড়ে হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পবনের আরও ৩১ বছর সময় লেগে যায়। তখন পবন মিরুতে। সেখানে প্রতি ফাঁসির জন্য ৩০০০ টাকা করে পেতে পবন। সেই টাকা পেতেও জুতোর সুখতলা খসে যেত তার। মঙ্গলবার দিল্লির নির্ভয়া কান্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য মীরুত থেকে তিহারে নিয়ে আসা হয় পবন জল্লাদকে। সেখানেই পেশাদারী ফাঁসুড়ে হিসেবে অভিষেক করানো হয় তাকে।
আজ ভোর ৫:৩০ মিনিটে নির্ভয়া কান্ডের সঙ্গে জড়িত ৪ জন অভিযুক্তকে ফাঁসি দিয়ে প্রতিষ্টিত ফাঁসুড়ে হিসেবে অভিষেক হয় পবন জল্লাদের। নির্ভয়া কাণ্ডের ৭ বছর ৩ মাস পর ফাঁসি দেওয়া হল অভিযুক্তদের। সেই ৪ জন অভিযুক্ত হলো অক্ষয় ঠাকুর(৩১ বছর), পবন গুপ্ত(২৫ বছর), বিনয় শর্মা(২৬ বছর) এবং মুকেশ সিং(৩২ বছর)। তিহার জেল সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রতি ফাঁসির জন্য পবন জল্লাদকে ২০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে।