দেশে বিপদ! মানুষের সেবায় উৎস্বর্গ প্রাণ, মায়ের মৃত্যুতেও কর্মরত চিকিৎসক

করোনার মারণ থাবায় দেশ। প্রতিদিন বাড়ছে করোনার আতঙ্ক। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনার মোকাবিলায় লকডাউন দেশ। আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলতে দিনরাত কাজ করে চলেছে চিকিৎসক, নার্স ও সাস্থকর্মীরা। এরই মধ্যে নজির বিহীন সিদ্ধান্ত নিলেন এক চিকিৎসক। নিজের মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েও অটল থাকলেন নিজের কর্তব্যে। গেলেন না মায়ের সৎকার করতে।
সূত্রের খবর, গত ৩০ মার্চ ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয় রামমূর্তির বাবুর মা ভোলি দেবীর। কিন্তু সেই সময় জয়পুরের এক হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত একদল ইতালীয় পর্যটকের চিকিৎসায় কর্মরত ছিলেন তিনি। মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়লেও নিজেকে সামলে নেন। রামমূর্তি মীনা নামের ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করা সবচেয়ে জরুরি।
এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘আমার মা মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাঁচিয়ে তোলাটায় আমার কাছে সবচেয়ে বড় কর্তব্য ছিল আমার কাছে। তাই হাসপাতাল ছেড়ে যাইনি আমি।’ এই সিদ্ধান্তে পরিবারের সদস্যরা তার পাশে ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।