দেবপ্রিয়া সরকার : বুধবার ভোরবেলা রাম জন্মভূমিতে থাকা রামের মূর্তি সরানোর আয়োজন করা হয়। এই মূর্তি স্থানান্তরিত করার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু শোনা যাচ্ছিল নভেল করোনাভাইরাস জনিত মহামারীর কারণে অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ চেয়েছিলেন অনুষ্ঠানটি হোক। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আহবানে ২০ জন মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
লকডাউন ঘোষণার পরেই রাম মূর্তি স্থানান্তরের কাজে সদলেবলে নেমে পড়েন স্বয়ং যোগী আদিত্যনাথ। আপাতত যতদিন না মন্দির তৈরি হচ্ছে ততদিন ফাইবার দিয়ে তৈরি একটি অস্থায়ী আশ্রয়ে রাম মূর্তিটি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ রাম মূর্তিটি স্থানান্তরিতের অনুষ্ঠানটিকে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রথম পর্বের সূচনা বলে অভিহিত করে টুইট করেন। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মন্দির তৈরির সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে আদৌ তা সম্ভব কিনা সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। অনুষ্ঠানের কিছু ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের আহবানে শহরের বিশিষ্ট সাধু ছাড়াও অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রধানসহ উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন রামমূর্তি স্থানান্তরের ওই অনুষ্ঠানে।
সারা দেশজুড়ে লকডাউন চলায় অযোধ্যা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ২ এপ্রিল পর্যন্ত শহরে তীর্থযাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জরুরি পরিবহন পরিষেবা ব্যতীত সমস্ত বিমান ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, কয়েক মাসের মধ্যেই রাম মন্দির তৈরি হবে। তবে শুধু রাম মন্দিরই নয়, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উত্তরপ্রদেশ সরকার অযোধ্যাতে মসজিদের জন্য যে জমি নির্ধারণ করেছিল তাও খুব শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সরকারি আদেশ নামা অনুযায়ী অযোধ্যার ওই রাম মন্দির ও মসজিদ তৈরি হবে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে।