whatsapp channel
google news
নিউজ বিনোদন ভাইরাল ভিডিও অর্থনীতি লাইফস্টাইল অফবিট খেলা রাজনীতি
Advertisements

‘জনতা কার্ফু’ মানলেন না সরকারি আধিকারিকরা! সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও

দেবপ্রিয়া সরকার : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের হার দিন দিন যেভাবে বাড়ছে‌ তার জেরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারা দেশ জুড়ে জনতা কার্ফু জারি করেন। এই কার্ফু চলাকালীন কিছু প্রশাসনিক…

Published By: Web Desk | Updated:
Advertisements

দেবপ্রিয়া সরকার : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের হার দিন দিন যেভাবে বাড়ছে‌ তার জেরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারা দেশ জুড়ে জনতা কার্ফু জারি করেন। এই কার্ফু চলাকালীন কিছু প্রশাসনিক আধিকারিকদের কীর্তির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হয় এবং ভিডিওটি নিয়ে তুমুল বিতর্কও তৈরি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে পিলভিট জেলায় কয়েকজন প্রশাসনিক আধিকারিক যা কাণ্ড ঘটালেন তা দেখে স্তম্ভিত সাধারণ মানুষ। ‌

আপনার জন্য নির্বাচিত

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন পুলিশ আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে এক জেলা শাসকের নেতৃত্বে অনেক লোক ভিড় করে ঘণ্টা, স্টিলের প্লেট বাজাচ্ছেন। দেশের এমন দুর্যোগে যে সমস্ত মানুষ প্রধানমন্ত্রীর জনতা কার্ফুর সিদ্ধান্ত অংশগ্রহণ করেছে তাদের প্রতি সম্মান জানাতে বিকেল ৫ টায় বাড়ির ব্যালকনিতে এসে হাততালি দিয়ে তাদের সম্মান জানানোর জন্য আহ্বান করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছিল যাতে কোনরকম ভিড় জমায়েত না হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল হাততালির বদলে রাস্তায় দলবল নিয়ে বেরিয়ে মহানন্দে থালা, ঘণ্টা ইত্যাদি বাজাতে শুরু করেছেন খোদ সরকারি আধিকারিকরাই। তবে শুধু আধিকারিকরাই নয়, বেশ কিছু জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও আবির খেলা হয়েছে এর সাথে।

এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ার। এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রশ্ন উঠছে যে, সাধারণ মানুষ তো কোন ছাড়, আদৌ নিজেদের নিয়ে কি সতর্ক সরকারি আধিকারিকরা? সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে চর্চা চলাকালীন একটি টুইট বার্তায় পিলিভট পুলিশ জানায়, কোন জনতা কার্ফু অস্বীকার করেনি সরকারি আধিকারিকরা। যাতে স্থানীয়রা তাঁদের বাড়িঘর থেকে না বের হন তা খতিয়ে দেখতেই দলবল সমেত রাস্তায় পর্যবেক্ষণে নামেন ওই আধিকারিকরা। এছাড়া জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। কার্ফু ভাঙার কোনও চেষ্টা করেননি তারা। কিছু মানুষ বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে এসে জমায়েত হয়েছিল, তাই তাঁদের ফিরে যেতে বলা হচ্ছিল।