করোনা হতে পারে জঙ্গিদের মারণ অস্ত্র! উদ্বেগ বাড়ালো রাষ্ট্রসংঘ

Advertisement

দেবপ্রিয়া সরকার : বর্তমানে সারা বিশ্বে একমাত্র আতঙ্ক করোনা ভাইরাস। সারাবিশ্ব করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যেন যুদ্ধে নেমেছে। কেউ কেউ বিশ্বের এই পরিস্থিতিকে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ বলে মনে করছেন। এই ভাইরাসকে পরবর্তীতে দমন করা সম্ভব হলেও এটি নিয়ে একটা ভয় থেকেই যাচ্ছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্টোনিও গুতেরেস এই ভাইরাস নিয়ে দিলেন এমনই এক উদ্বেগজনক তথ্য। তিনি জানান, মানুষ মারতে সন্ত্রাসবাদীরা করোনাভাইরাসকে জৈব মারণ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। বৃহস্পতিবার ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রর রাষ্ট্রপতির অধীনে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা কালীন তিনি আরো বলেন, মহামারীর আকার নেওয়া এই করোনাভাইরাস একটি প্রজন্মের লড়াই। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্রুত যুদ্ধ জিততে না পারলে এতে মানবজাতির বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই ভাইরাস বর্তমানে হুমকির কারণ হয় দাঁড়িয়েছে বলেও জানানো হয়। এই ভাইরাসের ফলে সামাজিক অস্থিরতা যেমন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে পারে, তেমনই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতাও ক্ষুন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

Advertisements

তবে এই ভাইরাসের প্রকোপের কারণে প্রত্যেক দেশের ক্ষেত্রেই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই যেকোনো সময় সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে প্রত্যেক দেশের সরকারই ব্যস্ত রয়েছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে। তাই এখন কোন দেশই সন্ত্রাসবাদী হামলার দিকে লক্ষ্য রাখছে না। সন্ত্রাসবাদীরা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারে বলে মনে করছে রাষ্ট্রসংঘ। এই প্রসঙ্গে আরও বলা হয় যে, সন্ত্রাসবাদীরা যদি করোনাভাইরাস হামলা চালায় তবে সারা বিশ্ব ধ্বংসের সম্মুখীন হবে। তখন এই মহামারী বিরুদ্ধে লড়াই আরো কঠিন হয়ে উঠবে। এই পরিস্থিতিতে তাই আন্তর্জাতিক, দেশীয় বিভিন্ন দ্বন্দ্ব বর্তমানে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।‌

Advertisements

জোনস হপকিংস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইতিমধ্যে ১৫ লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গিয়েছে ৯৫ হাজার মানুষ। এই ভাইরাসে যেমন সন্ত্রাসবাদি হামলার আশঙ্কা রয়েছে তেমনই মানবাধিকারের বিভিন্ন সমস্যা যেমন শরণার্থী, ঘর—বাড়ি—সম্পত্তি হারানো মানুষদের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে বেকারত্ব ও আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে। ‌তাই মানবিক সংকটের মুখোমুখি দেশগুলির প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে হিউম্যানিটি রেসপন্স প্ল্যান চালু করা হয়েছে।

Related Articles