করোনা যুদ্ধে মাতৃশক্তি, ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েও ডিউটি করছেন মহিলা পুলিশকর্মী

সারা বিশ্বে করোনা বিরুদ্ধে লড়াই এ সমস্ত ডাক্তার নার্স পুলিশ যারা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে অবিরাম কাজ করে চলেছেন ঠিক সেখানে ও দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে এই খবর।চাইলেও আপনি চোখ ফেরাতে পারবেন না। আট মাসের প্রেগন্যান্সি নিয়েও অবিরাম ডিউটি করে যাচ্ছেন এক মহিলা।তবে কি হয়েছে? গোটা দেশ জুড়ে যখন সংকটময় পরিস্থিতি,তখন তিনিই বা থেমে থাকতেন কিভাবে? জানতে ইচ্ছে করছে না?কে এই মহিলা? ইনি হলেন ওডিশার সাব ইন্সপেক্টর। তিনিও এই লড়াইয়ে থেমে থাকেননি। সূত্রের খবর থেকে জানা যায়, এই মহিলা পুলিশ সাব ইন্সপেক্টরের নাম মমতা মিশ্র। এই মূহুর্তে বেতনতি থানায় তার পোস্টিং। বুধবার ওডিশার ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ টুইট করে এই মহিয়সী নারীর প্রশংসা করেছেন।
ডিজিপি টুইটে বলেছেন, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েও অবিরাম কাজ করে চলেছেন এই মহীয়সী নারী, তাই তার স্বাস্থ্যের দিক লক্ষ্য রেখে তাকে কোনো চেকপোষ্টে ডিউটি না দিয়ে বেতনতি থানায় ডিউটি দেওয়া হয়েছে। মমতা দেবী জানিয়েছেন যে, এই কঠিন সময়ে যখন সমস্ত ডাক্তার নার্স পুলিশ তাদের ডিউটি করে যাচ্ছেন তখন আমি বা কেন পিছিয়ে থাকব, যদি কখনো শরীর অসুস্থ মনে হয় তাহলে আমি ছুটি নিয়ে নেব। তার সাথে তিনি আর ও জানিয়েছেন, তার সহকর্মীরা ভীষণ সাহায্য করে তাকে,সব সময় তার পাশে থাকে। করোনা ভাইরাসের জন্য ডিউটিতে প্রতিদিন যাই টহলদারি তেএবং ফিরে এসে সেই কেস গুলোর তদন্ত করি কোনরকম চাপ পড়ে না। ৩ই মে লকডাউন উঠে গেলে কিছু দিনের জন্য ছুটি নিয়ে নেব।
ময়ূরভঞ্জ এর আরো দুই অফিসারের নাম উঠে এসেছে এই তালিকায়। যারা দুজনেই নিজেদের বিয়ে ক্যানসেল করে ডিউটিতে জয়েন করেছেন জিডিপি থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। কনস্টেবল বিকাশ বারিক এবং এবং কনস্টেবল আশীষ কুমার দে দুজনেরই ৮ই মে বিয়ে হবার কথা ছিল, কিন্তু তারা তাদের বিয়ের ডেট পিছিয়ে দিয়েছেন এই সংকটকালীন অবস্থায় দেশের জন্য নিজেদেরকে নিয়োগ করেছেন। নীল মনি নায়ক নামে এক এসআই ও তার বিয়ের ডেট পিছিয়ে দিয়েছেন, এবং দেশ সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করেছেন। ঝারসুগুদার পুলিশ জানিয়েছেন যে, লাইকেরা নামক এক পুলিশ স্টেশনের হোমগার্ড মহিলা পুলিশ কর্মী ও তার তিন বছরের মেয়েকে বাড়িতে রেখে অবিরাম কাজ করে চলেছেন।