দেবপ্রিয়া সরকার : সমগ্র বিশ্বে বর্তমানে একটাই আতঙ্ক, তা হলো করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসকে নিয়ে সমগ্র বিশ্বে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এই ভাইরাসটি কেমন, কি প্রকৃতির এইসব নিয়ে চলছে তুমুল পর্যবেক্ষণ। তবে এখনো পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রকৃতি একটু আলাদা। এটি আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে বাড়তে থাকে, যার ফলে হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে আরেক জনের শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ঘটায়৷
একদল চিকিৎসাবিজ্ঞানী জানিয়েছেন এই ভাইরাসটি অশরীরী। অর্থাৎ এটি না বেঁচেও কোটি কোটি বছর বেঁচে থাকতে পারে। এই কথাটি শোনার পর অনেকেই আশ্চর্য। এটা ভেবে আশ্চর্য যে, কোনো ভাইরাস না বেঁচে কি করে দিনের পর দিন বেঁচে থাকে? এই ব্যাপারটি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভাইরাসটির সেই অর্থে নির্দিষ্ট কোনও চেহারা নেই৷ এই ভাইরাসের একটি যদি দেহে ঢোকে তারপরেই সেই একটি ভাইরাস কোষের মধ্যে ধীরে বংশ বিস্তার করতে শুরু করে এবং ওই একটি ভাইরাস কয়েক দিনের মধ্যেই কয়েক লক্ষ হয়ে যায়৷ করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ৩ থেকে ৪ দিন পরে ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। এই ভাইরাস প্রথমে রেসপিরেটরি সিস্টেমকেই টার্গেট করে নাক ও গলার অংশকে প্রথমে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এরপর ফুসফুসের নীচের দিকে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। ফুসফুসে আক্রমণ করার পর এটি সম্পূর্ণ ফুসফুসে ছেয়ে যায় এবং সেই থেকে সারা শরীরকে ভাইরাসটি কব্জা করে নেয়।
সমগ্র বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও নির্দিষ্ট কোন ওষুধ তৈরি করতে এখনো সক্ষম হয়নি। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এই ভাইরাস কোন জীবিত ভাইরাস নয়, তাই একে মারা কঠিন। আসলে যে ভাইরাসটি প্রথম থেকেই মরা তাকে নতুন করে কিভাবে মারা যাবে সেই নিয়েই পর্যবেক্ষণ চলছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা নোভেল করোনা ভাইরাসকে জম্বির সাথে তুলনা করেছেন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এই ভাইরাস মানবদেহই হারাতে পারে। এর জন্য মানব দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মান বেশি থাকা দরকার।