Fruits For Diabetics: ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ উপকারী এই ৫টি মিষ্টি ফল, জেনে রাখুন কাজে আসবে
ডায়াবেটিস সমস্যা যা সারা বিশ্বে বেড়েই চলেছে। তিরিশ বছর আগের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা চারগুন বেড়েছে। এই দীর্ঘমেয়াদী অসুখ নিরাময় যোগ্য নয় তাই একমাত্র উপায় নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। আর নিয়ম তান্ত্রিক জীবনযাপনের একটি বড় নিয়ামক হলো পরিমিত পরিমাণে সঠিক খাবার গ্রহণ।
আর খাবারের সাথেই জড়িত ফলের কথা। ফল যে আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সুগার রোগীদের জন্য ফলের ক্ষেত্রেও অনেক বাধা নিষেধ রয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে জানুন যে সুগার রোগীরা যে মিষ্টি ফলগুলিও নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন।
ডায়াবেটিস ঠেকাতে বা ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য যে ফল খুব উপকারী সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছে-
আম- অনেকের মনেই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে সুগারের সমস্যা থাকলে আম খাওয়া যায় না। কিন্তু আদপে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে আম। আমের মধ্যে থাকা রকিমাণ কার্বোহাইড্রেট সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই পরিমিত পরিমাণে আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ভালো।
কলা- ফাইবারে ভরপুর একটি ফল কলা। সেইসঙ্গে এরমধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুন। মিষ্টি জাতীয় ফল হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন কলা। ব্রেকফাস্টের সময় ওটস্, মুসলির সঙ্গে মিশিয়ে কলা খেতে পারেন এতে কলার পুষ্টিগুণ বজায় থাকে আবার সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আপেল- যাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস রয়েছে তারা অবশ্যই নিজেদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন আপেল। আপেলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম। রোজ আপেল খেলে সুগার কমার সম্ভাবনা থাকে 28%।
পেঁপে- মিড মনিং ব্রেকফাস্টে একবাটি পাকা পেঁপে যদি খেতে পারেন তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো। পেঁপের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, এ, ই। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো পেঁপে।
সবেদা- সবেদা সুগার রোগীরা খেতে পারবেন কিনা এই নিয়ে বিতর্ক থাকলেও কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এটি সুগার পেশেন্টদের পক্ষেও উপকারী। ফ্রুট স্যালাড, স্মুদির সঙ্গে খেতেই পারেন সবেদা।