জীবনে সুখ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু অনেকের সবকিছু থেকেও সে সুখী থাকতে পারে না। তারাও খোঁজে সুখী থাকার উপায়। তবে, জীবনে চলার পথে বহু উপদেশ দিয়ে গিয়েছেন চাণক্য যা আজও মানুষকে সাহায্য করে। চাণক্য-নীতি জ্ঞাহ আহরণ করে এই আধুনিক যুগেও ঋদ্ধ হতে পারি আমরা। আজ আলোচনা বিষয় আচার্য চাণক্যের কয়েকটি উপদেশ নিয়ে। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে জীবনে সুখী থাকার ক্ষেত্রে প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিক তথা অর্থনীতি বিদ চাণক্য কোন নীতি অবলম্বন করা উপদেশ দিয়েছেন।
চাণক্যের মতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সিল্কের সুতোর মতো। স্বামী এবং স্ত্রীর সম্পর্ক প্রেম এবং বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। এই দুটি জিনিস যখন ভেঙে পড়তে শুরু করে, তখন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক দুর্বল হতে শুরু করে। এই সম্পর্কের মধ্যে যখন ফাটল দেখা দেয় তখন ব্যক্তির জীবনে উত্তেজনা এবং বিভেদ দেখা দেয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে যখন দূরত্ব আসতে শুরু করে, তখন ব্যক্তি যতই মেধাবী এবং পণ্ডিত হন না কেন, তিনি মানসিক চাপে ভুগতে থাকেন। তাই চাণক্যের পরামর্শ অনুযায়ী, স্ত্রীর ব্যাপারে কখনও একজন বুদ্ধিমান মানুষ বাইরের লোকের সামনে খারাপ কথা বলেন না।
সুখী থাকতে গেলে চাণক্যের উপদেশ , কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে জনসমক্ষে বেশি কথা না বলা উচিত। সেক্ষেত্রে অন্যের হাসির পাত্র হয়ে উঠতে হয়। পাশাপাশি যদি কেউ অধস্তন অপমান করে পাল্টা জবাব না দিয়ে সেই বিষয়টি নীরবে সয়ে যাওয়াই শ্রেয় উপদেশ চাণক্যর। তিনি বলে গিয়েছেন এই অপমান স্মৃতিতে রাখতে। শিক্ষা নিতে, কিন্তু অধস্তনের সঙ্গে লড়াইয়ে নামলে অপমান আরও বাড়বে।
যদি আপনি কখনও আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়েন তাহলে সেই আর্থিক সমস্যার কথা জনসমক্ষে না অনাই ভালো এমনটাই মত চাণক্যর। কারণ এক্ষেত্রে লোকে সমবেদনা জানায় ঠিকই, তবে সহানুভূতির পাত্রও মনে করে। উল্লেখযোগ্য বিষয়, চাণক্যকে সেরা পণ্ডিতদের মধ্যে গণনা করা হয়। আচার্য চাণক্য মানবকে প্রভাবিত করার প্রতিটি বিষয় খুব গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন। এই কারণেই চানক্যের নীতি আজও আলোচনা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে উঠে আসে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে যিনি আচার্য চাণক্যর চাণক্য নীতি নিয়মিত অধ্যয়ন করেন, তার জীবন থেকে দুঃখ ও দুর্দশা দূর হয়।