লাইফস্টাইল

গোলাপের পাপড়ির মতো সুন্দর হবে ঠোঁট, রাতে শুষ্ক-ফাটা ঠোঁটের যত্ন নিন এইভাবে

মোটামুটি জাঁকিয়ে শীত প্রবেশ করেছে রাজ্যে। আর শীত প্রবেশের সাথে সাথেই দেখা দিচ্ছে আমাদের নানা সমস্যা। শীতকাল মানেই শুষ্ক ত্বক, ঠোঁট, হাত, পা ফাটার মত নানা একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয় আমরা। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো কিভাবে রেহাই পাবেন শুষ্ক ঠোঁট থেকে। জানাবো এর থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায়।

শীতকালে শুষ্ক ঠোঁট এবং বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা বাজারের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। এমনকি শুষ্ক ঠোঁট থেকে বাঁচতে আমরা বিভিন্ন ধরনের বাজার চলতি লিপ বাম ব্যবহার করি। কিন্তু অনেক সময় এসব বাজার চলতি প্রসাধনীর ভেতরে থাকা উপাদানগুলি আমাদের ওপর ভালো বদলে খারাপ প্রভাব ফেলে। তবে আজকে জানাবো কিছু ঘরোয়া উপায় যাতে আপনাদের ঠোঁট থাকবে নরম মসৃণ গোলাপের মতো।

অনেকের অভ্যাস রয়েছে ঠোঁট কামড়ানো, আবার অনেকে ঠোঁট শুকিয়ে এলে লালারস দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেন, কিন্তু এক্ষেত্রে লালা রসের মধ্যে থাকা এনজাইম আমাদের ঠোঁটকে আরো শুষ্ক করে তোলে। তাই প্রথমেই ঠোঁটকে ভালো রাখতে গেলে এই ধরনের অভ্যেস থেকে দূরে থাকতে হবে।

লিপবাম লাগানোর সঠিক সময় হল রাতের বেলায় ঘুমোনোর আগে। তবে আপনি যে লিপ বাম ব্যবহার করবেন তাতে দেখে নেবেন ঠোঁটের জন্য উপযোগী উপাদান রয়েছে কিনা। ঠোঁটের জন্য উপযোগী উপাদানগুলি হল পেট্রোলিয়াম জেলি, এসেন্সিয়াল অয়েল এবং গ্লিসারিন।

আমরা প্রতিদিন যেমন ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করে থাকি, তেমনি ঠোঁটেও প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এটি আপনার ঠোঁট ভালো রাখতে সাহায্য করে।

শুধুমাত্র উপর থেকে ঠোঁটকে ভালো রাখলেই হবে না। ভেতর থেকে ঠোঁটকে ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। শীতের সময় আমাদের জল পান করার পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে অনেক সময় ঠোঁট ফাঁটতে দেখা যায়। কিন্তু এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল জাতীয় খাবার এবং পানীয় পান করা প্রয়োজন। এটি আমাদের ঠোঁটকে ভেতর আদ্র করে এবং ভালো রাখতে সাহায্য করে।