কিছু ফল আছে যেগুলো আমাদের শরীরের এক অবর্থ্য দাওয়াই, ম্যাজিকের মতো কাজ করে। দেখতে ছোট হলেও গুনের লিস্ট লম্বা। ভেষজগুনে যেমন পরিপূর্ণ তেমনি ত্বক, চুল সবকিছুর জন্য সমান উপযোগী। আমলকি এমন এক ফল যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই ফলটি শরীরের মধ্যে বিভিন্নভাবে গড়ে ওঠা রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জেনে নেয়া যাক আমলকির অসংখ্য গুনাবলির মধ্যে কিছু গুনাবলি।
একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে আমলকিতে ভিটামিন সি থাকে যা চুলের কোলাজেন প্রোটিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এরফলে চুলের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে কেবল লাগানো নয় ফল পেতে আমলকি সেবন প্রয়োজনীয়।
মিক্সিতে আমলকি বেটে নিয়ে গ্লাসে জল দিয়ে ভিজিয়ে রেখে সেই জল খেলে শরীর ভালো থাকবে। আর এই শরীর স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলের ওপর। শরীর সামগ্ররিক ভাবে ভালো থাকলে ত্বক ও চুলের ঔজ্বল্যতা বাড়বে। আমলকিতে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস চুল ত্বক ভালো রাখে। চুলে পাক ধরা থেকে রক্ষা পেতে কাঁচা আমলকি বেটে নিন। চুলের গোড়ায় মেসেজ করে আধ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। দারুন কাজ দেয়। আবার আমলকিতে থাকা ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস ও ভিটামিন সি স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।
আমরা জানি ভিটামিন সি ক্রিম ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। নামিদামি কোম্পানির এই ক্রিম ব্যবহার করলে যে ফল পাওয়া যায় একই ফল আমলকি থেতো করে সেই রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে নিলে উপকার পাওয়া যাবে। ত্বকের কালচেভাব দূর হবে। আমলকি শুকিয়ে গুড়ো করে জল বা মুলতানি মাটির সাথে মিশিয়ে মুখে গলায় হাতের লাগালে ত্বকের বলিরেখা, ব্রন, মেচেদা প্রভৃতি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। উজ্জ্বল ও সজীব হয়ে উঠবে চেহারা। বেদানার থেকে 17 গুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমলকিতে আছে। তাই আমলকি মাখার পাশাপাশি খেলেও শরীর-স্বাস্থ্য ত্বক সমস্ত হয়ে উঠবে সুন্দর।