দেবপ্রিয়া সরকার : মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দু’দিন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ না থাকায় পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যায়। এরপর বাকি পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাধ্যমিকে যে সিদ্ধান্তটি দু’দিন পর নেওয়া হয়েছিল, উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সে ভুল আর করা হয়নি। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে প্রথম পরীক্ষার দিন থেকেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। মূলত পরীক্ষা শুরুর দু’ঘণ্টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে বিশেষত রাজ্যের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর জেলাগুলির ক্ষেত্রে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায়়় রাজ্যের ৭টি জেলার ৪২টি ব্লকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬টি জেলাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হলেও এর পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে না পারে সেদিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এবছর প্রায় ৩০০ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন রাজ্য শিক্ষা সংসদ সভাপতি। পরীক্ষার হলে একজন শিক্ষক বিশেষভাবে কারোর কাছে মোবাইল ফোন আছে কিনা সেদিকে নজরদারি রাখবে। মূলত এবার প্রশ্নপত্র যাতে কোন ভাবেই আউট না হয় সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য শিক্ষা সংসদ। এরপরেও যদি কোনরকম গাফিলতি হয় তবে সে ক্ষেত্রে সেই স্কুলের অনুমোদন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর।