সোনা ও রুপো এই বাজারে যে কতটা মূল্যবান তা পরিস্কার বোঝা যায় বিগত কয়েক বছরে এই ধাতুগুলির দামের বৃদ্ধি দেখে। কিন্তু এমসিএক্স সূচক অনুযায়ী দাম ওঠানামা করে, সেক্ষেত্রে ভারতে ২০২০ সালের পরে ২০২১ সালেও সোনা ও রুপোর দামে দোলাচল চলছে। মঙ্গলবার সেই ধারা অনুযায়ী এমসিএক্স সূচকে ০.০৩% দাম পতন হয়েছে। এর ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে বর্তমানে ৪৯,৩২৮ টাকা। রুপোর দরও ০.২২% হ্রাস পেয়ে বর্তমানে প্রতি কেজি রুপোর দর ৬৫,৪১৪ টাকা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বড়সড় পতনের পরেও সোমবার দিনের শেষে সূচকে সোনার দর বৃদ্ধি পেয়েছিল ০.০৭%। যদিও, এ দিন আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলারের দর সাময়িক চাঙ্গা থাকা সত্ত্বেও সোনার দামের বৃদ্ধি ঘটেছে। স্পট গোল্ড সূচকে উত্থান হয়েছে ০.২%। এর জেরে প্রতি আউন্স সোনার দাম হয়েছে ১,৮৪৭.৯৬ ডলার এবং প্রতি আউন্স রুপোর দর হয়েছে ২৫.১১ ডলার, ০.৮% উত্থানের ফলে।
উল্লেখ্য, গত তিন বছরের হিসেবে নিম্নতম দরে পৌঁছানোর পরে মার্কিন ডলারের দাম হঠাৎ বাড়তে শুরু করে, সঙ্গে বছরের শুরু থেকেই মার্কিন বন্ডেরও মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। এর জেরে লক্ষ্যণীয় ভাবেই সোনা বিক্রির প্রবণতা হ্রাস পাচ্ছে এবং এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা যাচ্ছে বাজারে। এই পরিস্থিতিতে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভবিষ্যতে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
‘জিওজিৎ ফিনান্সসিয়াল সার্ভিসেস’-এর দাবি, সোনায় লগ্নির প্রবণতা সূচকে বৃদ্ধির পক্ষে অনুকূল হবে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন আমেরিকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা হ্রাস, আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজার চাঙ্গা হওয়া এবং টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় কোভিড অতিমারী নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি। তবে গত কয়েক বছরে ডলারের দামের পতনে এবং নতুন মার্কিন অর্থনৈতিক প্যাকেজ হ্রাস পাওয়াতে সোনার দাম আশানুরূপ বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোনার দামের পরিবর্তনের ফলে দেশের বাজারে সোনার চাহিদা ফের বাড়তে পারে। জিওজিৎ জানিয়েছে, “এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৭,৬০০ টাকার গন্ডি অতিক্রম করা প্রয়োজন এবং যদি এই দাম ৫২,০০০ টাকার উপরে ওঠে তবেই বাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস পাওয়া যাবে।” উল্লেখ্য, ২০২০ সালে সোনার দাম বেড়েছিল ২৫% এবং গত আগস্ট মাসে সোনার দাম হয়েছিল প্রতি ১০ গ্রামে ৫৬,২০০ টাকা যা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল।
অন্য দিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাজারে নিয়ে এসেছে সরকারি সভারেন গোল্ড বন্ড কেনার সাম্প্রতিক কিস্তি। প্রতি ইস্যুর দাম করা হয়েছে ৫,১০৪ টাকা। যদিও অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে ইস্যুপ্রতি ৫০ টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে।