কিছুদিন আগেই ফুসফুসে ক্যানসারে আক্রান্ত হন সঞ্জয় দত্ত। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই শরীর ভেঙে যায় অভিনেতার। সেই শক্ত চোয়াল,টানা বলিষ্ঠ চোখ, পেশিবহুল হাত সব উধাও। যেন এক শীর্ণকায় বৃদ্ধ। তবে বর্তমানে সুস্থ মুন্না ভাই। দশেরায় সস্ত্রীক পুজো সারলেন ক্যানসার জয়ী সঞ্জয় দত্ত।
১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত বেআইনি অস্ত্র আইন মামলায় নাম জড়ায় সঞ্জয় দত্তর। সঞ্জয় পত্নী মান্যতা ও দুই সন্তানকে ছেড়ে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত একটানা ৪২ মাস জেলবন্দি ছিলেন মুন্না ভাই। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ক্যান্সার মারণ কামড় বসায় অভিনেতার শরীরে। কয়েক মাস আগেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভরতি ছিলেন অভিনেতা। যদিও পরবর্তীকালে ঠিক হয়ে যান মুন্নাভাই। কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সঞ্জয় দত্তর শরীর একেবারে ভেঙে যায়। সম্প্রতি মুন্না ভাই সাফ জানান ক্যানসারের থাবা থেকে ক্রমশ নিজেকে মুক্ত করতে শুরু করেছেন অভিনেতা।
এরই মাঝে জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়ে অশুভ শক্তির বিনাশে শুভ শক্তিকে স্বাগতম জানাতে দশেরার দিন পুজো সারলেন সঞ্জয় দত্ত। এদিন সঞ্জয় দত্তর দশেরার পুজোর ভিডিয়ো শেয়ার করে সঞ্জয় পত্নী মান্যতা লেখেন, ‘এই দশেরাটা তাঁদের উত্সর্গ করছি যে শুধু আমার জন্য নয়, কয়েক লক্ষ মানুষের অনুপ্রেরণা। জীবন ওঁনার সমানে অনেক কঠিন পরিস্থিতি হাজির করেছে কিন্তু উনি সবসময় যুদ্ধ করেছেন ধৈর্য, ভালোবাসা এবং আত্মবিশ্বাস দিয়ে। আর যখন আমরা অবশেষে ভাবলাম যে এবার জীবনে শান্তি ফিরল, তখনই আরও একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ হাজির হল’।
সঞ্জয় পত্নি আরও লেখেন, ‘তুমি আমার শক্তি, আমার গর্ব, আমার রাম। আজ আবারও প্রমাণ হল যে পজিটিভ মানুষরা সব কিছু জয় করতে পারে, সব খারাপ পরিস্থিতি নিজেদের সাহস আর শক্তি দিয়ে পার করে ফেলতে পারে! তোমার মতো কেউ নেই সঞ্জু, তুমি আমায় শিখিয়েছো যখন পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায় তখন তোমাকে আরও মজবুত, আরও কঠিন হতে হয়েছে। সকলের জন্য রইল ভালোবাসা, শান্তি ও মঙ্গলকামনা’। বলে রাখি, কথিত আছে
নবরাত্রির দশম দিন অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির সংগ্রাম পূর্ণতা পায়।
