বাচ্চা বয়সে বিয়ে, তারপরেই ডিভোর্স! কেরিয়ারে সফল হলেও সংসার টেকেনি এইসব টেলি নায়িকাদের

টলিপাড়ার অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যারা পেশাগত জীবনে বেশ সফল হয়েছেন। একের পর এক সাফল্যের গন্ডি পেরিয়ে আসলেও তাদের বাস্তবে সংসার খুব একটা সুখের হয়ে ওঠেনি। সাংসারিক জীবনে তারা গভীর ঢাক্কা খেয়েছেন এবং সংসার টেকেনি এমন একাধিক অভিনেত্রী রয়েছেন।
বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন সোনামণি সাহা (Sonamoni Saha)। ‘এক্কা দোক্কা’-র রাধিকা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বাস্তবে প্রতীক সেনের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায়। সোনামণি মাত্র ১৮ বছর বয়সে ২০১৫ সালে ড্যান্স কোরিওগ্রাফার সুব্রত রায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন। কিন্তু ২০১৯ সালেই তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
টেলিভিশনের পর্দায় একসময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘বোঝে না সে বোঝে না’। এই ধারাবাহিকে ‘পাখি’ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)। সেইসময় টলি পাড়ার অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে আইনি বিবাহ সারেন তিনি। তখন অভিনেত্রীর বয়স ১৯ বছর। ২০১৯ সালে তাদের সম্পর্কের চিড় ধরে। বর্তমানে তারা দু’জন আলাদা থাকেন। মধুমিতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এখন সিঙ্গেল রয়েছেন।
টেলিভিশনের পর্দায় জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’র কথা সকলেরই জানা। এই ধারাবাহিকে ‘শ্যামা’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিয়াশা লেপচা (Tiyasha Lepcha)। ২০১৭ সালে তিয়াশা সুবান রায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন। তখন অভিনেত্রীর বয়স ১৮ বছর। তার স্বামী সুবান টেলিভিশন দুনিয়ার মানুষ। ২০২১ সালে তিয়াশা বিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করেন। ২০২২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়।
বর্তমানে ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন শোলাঙ্কি রায়। ২০১৭ সালে শাক্য বসুকে বিয়ে করেন শোলাঙ্কি (Solanki Roy)। এরপর স্বামীর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে কিছুদিন ছিলেন তিনি। তবে শোনা যায় তাদের বিচ্ছেদ ঘটেছে। তবে শোনা যায় অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর সঙ্গে নাকি তিনি চুটিয়ে প্রেম করছেন।
‘বউ কথা কউ’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন মানালি (Manali)। ২২ বছর বয়সে ২০১২ সালে গায়ক সপ্তককে বিয়ে করেন তিনি। তবে চার বছর পর বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। এরপর তিনি ২০২১ সালে ১৫ই আগস্ট অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।