বিনোদন

প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হোক ধর্ষকদের, উত্তরপ্রদেশে তরুণীর মৃত্যুতে ফেটে পড়লেন কঙ্গনা

Advertisement
Advertisement

এমনিতেই মাদক যোগে সরগরম বলিউড। এরই মাঝে ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষিতা মহিলা। আর এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাওয়াত। এমনিতেই ঠোঁটকাটা হিসেবে সকলেই চেনেন বলিউড কুইন কঙ্গনাকে। কাউকে রেয়াদ করে কথা বলে না সে। যে কোনও কথরই স্পষ্ট জবাব দিতেই বরাবরই পছন্দ করেন কঙ্গনা। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এবার উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষিতার ধর্ষকের প্রসঙ্গে তোপ দাগলেন অভিনেত্রী।

এই প্রসঙ্গে কঙ্গনা জানান, ‘সবার সামনে গুলি করে মেরে ফেলা হোক ধর্ষকদের। প্রত্যেক বছর যে হারে গণধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে দেশে, তার সমাধন কোথায়! দেশের জন্য এটি একটি লজ্জাজনক দিন। আমরা নিজেদের মেয়েদের রক্ষা করতে পারছি না, এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না’।

দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণের স্মৃতি ফের একবার উস্কে দিল উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষণের ঘটনা। ঘটনার পর নির্যাতিতার ভাই জানান, ‘গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরস এলাকায় বাড়ির কাছেই একটি জমিতে মা ও আমার সঙ্গে জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন দিদি। বিকেলের দিকে আমি বাড়িতে চলে আসি। মায়ের থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন দিদি। সেই সময় পিছন থেকে দিদিকে আক্রমণ করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টানতে টানতে একটি বাজরা খেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচার চালায় ও গণধর্ষণ করে। পরে মা খুঁজতে খুঁজতে দিদিকে উদ্ধার করেন অচৈতন্য অবস্থায়’।

এরপর নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জেএনএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছে তার উপর। প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করে দুষ্কৃতীরা। মুখের একাধিক জায়গা, জিভে কামড়ের গভীর ক্ষত। শিরদাঁড়া ও ঘাড় মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অসাড় ছিল দুই পা এবং একটি হাত। আইসিইউ-তে রেখে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছিল তাকে বাঁচানোর। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয় দিল্লির হাসাপাতালে পাঠানোর, পাঠানোও হয় সেখানে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার। মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় চার অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles