বিধ্বস্ত দু’টি মানুষ অতীতের ঝাপটায়। সম্পূর্ণ ভিন্ন দু’টি রাস্তা হঠাৎই চৌরাস্তায় এসে মিশে গিয়েছে। একে অপরকে কেবল সুরে সুরে বাঁধল তারা। দু’জন দু’জনের জীবনে কোথাও গিয়ে গভীর প্রভাব ফেলল। অপরাধ, হত্যা, দ্বন্দ্ব হঠাৎই একাধিক টানাপড়েন এসে পড়ল এই আত্মিক যোগাযোগের মধ্যে। কিন্তু এসবের পরেও সুরই এই ছেলেটি ও মেয়েটির ললাটলিখনের ভার নিল। আর কলকাতার বিখ্যাত ট্যাংরা বস্তিই হলো এই সব ঘটনার প্রেক্ষাপট। এই ঘটনা নিয়েই তৈরি হল ‘ট্যাংরা ব্লুজ’।
সঞ্জীব মণ্ডল ও জোয়ি চরিত্রে প্রথম বার জুটি বাঁধলেন পরমব্রত ও মধুমিতা (Madhumita Sarcar)। ‘হইচই’-তে মুক্তি পাবে ছবিটি। খোদ অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রযোজনা করেছেন।জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক সুপ্রিয় সেন নির্দেশিত এই ছবিটির। ‘ডিটেকটিভ’ ছবির পর এই প্রথম সোজাসুজি ডিজিটালে মু্ক্তি পাচ্ছে এই ছবিটিই। তাই বলা যেতে পারে দ্বিতীয় নাম হিসেবে ‘ট্যাংরা ব্লুজ’ জায়গা পেল ‘হইচই’-এর ‘ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো’ তালিকায়।
সংবাদমাধ্যমকে পরমব্রত বললেন, ‘‘প্রযোজক হিসেবে বললে, ছবিটি প্রযোজনা করে আমি অত্যন্ত খুশি। অনেক আবেগের জায়গা রয়েছে এই ছবিতে। আর সেখানে গিয়েই এই ছবিটা অনেক ছবির চাইতে আলাদা। গল্পটির মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু সামাজিক বার্তা রয়েছে। আমি আশা করছি, ছবিটি দেখার পর প্রতিটা মানুষের কাছে সেই বক্তব্যটি পৌঁছবে। যদিও স্ক্রিপ্টটি লেখা আর সেটিকে সেলুলয়েডে আনার মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি আমরা। তবে সকলে মিলে এক জোট হয়ে কাজ করায়, সেই চাপটা টের পাইনি কেউ।’’
অভিনেতা হিসেবে এই প্রথম বার মধুমিতা সররকারের (Madhumita Sarcar) সঙ্গে কাজ করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, জানালেন সেই অভিজ্ঞতার কথাও। মধুমিতার অভিনয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ”খুব তাড়াতাড়ি আমরা ছবির ছন্দের সঙ্গে পা মিলিয়ে ফেলতে পেরেছি। সুব্রতর দক্ষতার কথা তো না বললেই নয়। এত গোছানো একটা ছবি! এ বার খালি অপেক্ষা করছি কবে ছবিটা দর্শকের সামনে আসবে।’’ শ্যুটিংয়ের কাজ শেষ, পোস্ট প্রোডাকশনের খুঁটিনাটিও শেষের পথে, তাই মাসখানেকের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে ‘ট্যাংরা ব্লুজ’ হইচই-এর পর্দায়।