‘ডিভোর্স আমি দেব না…’, মিশকার প্ল্যানে জল ঢাললেন সূর্য-দীপা!

মিশকার ইন্ধনে ভুল বোঝাবুঝি সূর্য-দীপার, তবে সাত জন্মের বন্ধন ছাড়তে নারাজ দীপা। কাছাকাছি থেকেও মত বিরোধ সূর্য-দীপা (Surya-Deepa)-র। মাঝখানে বারংবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মিশকা। সম্প্রতি আবারো দীপাকে ভুল বুঝল সূর্য। দীপাকে সে কিছুতেই ক্ষমা করবে না, সে দিপাকে বিশ্বাস করে না বলে সকলের সামনে অপমান করে সূর্য। যা শুনে অবাক হয়ে যায় দীপা। দীপাও ছাড়তে নারাজ। বেশ কয়েকটি এপিসোডে দেখা যাচ্ছে বিচারকের রায় অনুযায়ী একসাথে থাকতে সূর্য-দীপা (Surya-Deepa)। তবে তাদেরকে কাছাকাছি না যেতে দেওয়ার জন্য নানানরকম ইন্ধন যোগাচ্ছে মিশকা। যার ফলে বারংবার দীপাকে ভুল বোঝে সূর্য।
সে দীপাকে কোনোমতেই মেনে নিতে পারছে না। তার কথায় প্রকাশ পায় তিনি যেনতেন প্রকারে দীপার থেকে মুক্তি চায়। কিন্তু অন্যদিকে দীপা ভেবেছিল তাদের এই সম্পর্ক হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সূর্যের ব্যবহারে দীপা ক্ষুব্ধ হন। দীপা আর চুপ করে থাকতে পারে না। সে সেখান থেকে সূর্যকে চলে যেতে বলে। তবে অন্যদিকে সূর্য-দীপার এই বিবাদে সুবিধা হয় মিশকা (Mishka)-র। সে সূর্যকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে চায়। তবে সেখান থেকে সকলে চলে গেলে দীপা সূর্যকে বলে সূর্য আর সে এক ছাদের তলায় না থাকলেও সে কোনোভাবেই সূর্যকে ডিভোর্স দেবে না। সাত জন্মের বন্ধন সে কিছুতেই ছেড়ে দেবে না।
তবে সূর্য চলে যাওয়ার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে দীপা। অন্যদিকে দীপার কাছে চলে আসে সোনা-রুপা (Sona-Rupa)। রুপা দীপার কাছে তার বাবার ছবি দেখতে চায়। কিন্তু দীপা রেগে গিয়ে তাকে বলে সে যেন তার বাবার নাম মুখে না নেয়। তার বাবা এবং মা হলেন দীপা (Deepa)। অন্যদিকে, আবার সূর্য (Surya) অর্থাৎ বাবাকে খুঁজতে থাকে সোনা। তবে দীপার মামি জানিয়ে দেয় যে, সে তার বাড়িতে ফিরে গেছে। ওদিকে সূর্য বাড়ি ফিরতেই অবাক হয় সকলে। বুঝতে পারে এটা মিশকার কারসাজি। সূর্যকে তার মা জিজ্ঞাসা করে সে কেন তাদের মাঝখানে মিশকাকে ঢুকতে দেয়।
সূর্যের চোখে মিশকা সব সময় ভালো। সে মিশকাকে ভুল প্রমাণ করতে চায় না। তবে অন্যদিকে, সূর্যকে সকলেই বোঝায় যে দীপার কোনো ভুল নেই। কিন্তু সূর্য মানতে চায় না। তবে এইসব কথোপকথনের সময় সোনা ফিরে আসে সূর্যের বাড়িতে। এসে তার বাবাকে বলে যে সে কেন তার মাকে ছেড়ে চলে এসেছে। ওদিকে কষ্টে ভেঙে পড়ে দীপা (Deepa)। রূপাকে বকাঝকা করায় অভিমান করে শুয়ে থাকে রুপা। তবে সে মায়ের কষ্ট বোঝে। তাই সে তার মায়ের চোখ মুছিয়ে দেয়। রুপা মনে মনে ঠিক করে যে সে তার মা এবং বাবার মিল করিয়ে দেবে। তার বাবাকে ঠিক তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে এনে দেবে।