বিয়ের সাত দিনের মধ্যে হাত থেকে উধাও শাঁখা-পলা, নীতি-পুলিশের শিকার জনপ্রিয় গায়িকা ইমন
ফের নীতিপুলিশি সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গায়িকা ইমন চক্রবর্তীও বাদ গেলেন না। এর আগেও আরও এক সদ্য বিবাহিতা তারকা ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়কেও শাঁখা-পলা পরা নিয়ে ট্রোল করা হয়েছিল। এ বার ইমন সেই একই আক্রমণের স্বীকার। ইমন চক্রবর্তী গত ২ ফেব্রুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন নীলাঞ্জন ঘোষের সঙ্গে। ইমন খাঁটি বাঙালি বধূর সাজেই সেজেছিলেন রাজকীয় সেই বিয়ের আসরে। তাঁর পরনে সবটাই দেখা যায় লাল বেনারসী, সোনার গয়না, হাতে শাঁখা-পলা, সিঁথি ভর্তি সিঁদুর।
p
কিন্তু বিয়ের সাত দিনের মধ্যে তাঁর একটি স্টেজ শোয়ের ছবি পোস্ট করার পর থেকেই বিদ্রুপ শুরু হয়। জাঙ্গিপাড়া বইমেলার গানের অনুষ্ঠান ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন অনুষ্ঠানের বিভিন্ন মূহুর্তের ছবি। শো-তে ইমনকে গান করতে দেখা যায় বেগুনি রঙের কাতান বেনারসি পরিহিত অবস্থায়।
সিঁথি ভর্তি সিঁদুর থাকলেও নববধূর হাতে ছিল না শাঁখা-পলা। এরপরেই নেটিজেনদের একাংশ তাঁর সমালোচনা শুরু করেন নীতি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। কেউ বলেন, শাঁখা-পলা খোলা উচিত হয়নি বিয়ের পরপরই। কারো আবার দাবি, যতই তারকা হন না কেন, সবশেষে একজন বাঙালি হিন্দু ঘরের বৌ তিনি। তাই তাঁর উচিত হয়নি এই নিয়ম অমান্য করা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে টলিউডের অন্য চার সদ্য বিবাহিত নায়িকা একযোগে মুখ খুলেছেন। গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী-অভিনেত্রী, ডান্সার দেবলীনা কুমার, অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়, নায়িকা তৃণা সাহা এবং অভিনেত্রী মিমি দত্ত ইমনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সমাজের কিছু কুসংস্কার দ্রুত পাল্টানো দরকার বলে তাঁদের সকলেরই মতে। একান্তই নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার সে কী পরবে। সবার আগে কাটিয়ে উঠতে হবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এই গোঁড়ামিগুলো।