গৌরি মরে যাবে না তো? দাম্পত্যের এই বিশেষ মুহূর্তে ভয়ে কেঁপে ওঠেন শাহরুখ খান
বি-টউনে এক আইডল জুটি বলিউড বাদশা ও বাদশা পত্নী। বলিউড বাদশা মানে সবাই জানে এখানে কিং খান অর্থাৎ শাহরুখ খানের কথা হচ্ছে। শাহরুখ গৌরীর প্রেমের কথা অজানা নয় কারুর। সিনেমার মতোই শাহরুখ-গৌরীর প্রেমের জীবনও রঙিন। তাদের প্রেম নিয়ে প্রচুর চর্চাও হয়। কিন্তু এইসবের মাঝেই আজও গৌরীর প্রতি প্রেমটা একই রকম রয়ে গিয়েছে কিং খানের। গৌরীকে চোখে হারায় শাহরুখ। তবে, গৌরী মরে যাবে নাতো একবার এই ভয়টাও পেয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু বলিউড বাদশা হঠাৎ এই ভয় পেতে গেলেন কেনও জানেন!
কত বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন শাহরুখ খান: শাহরুখ খান এই নামটা মানেই মেয়েদের মুখে চওড়া হাঁসি। কারণ তিনি যে কয়েক কোটি ভক্তের কিং খান, বলিউড বাদশা। শাহরুখ খানের প্রতি হাজার মেয়ে ফিদা থাকলেও বলিউড বাদশা কিন্তু ফিদা গৌরীর প্রতি। তবে, শাহরুখ-গৌরীর প্রেম, বিয়ে এসব কিছুই এতটাও সহজ ছিল না। মাঝে অনেক কঠিন রাস্তা পার হতে হয়েছে তাঁদের তাঁদের প্রেমটা খানিকটা বলিউডের সিনেমার গল্পের মতোই। রূপকথা বললেও ভুল হবে না। মাত্র ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। বলিউডে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেওয়ার আগেই গৌরির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন শাহরুখ খান। অল্প বয়সে বিয়ে তারপরেই সন্তান। প্রথম সন্তান আসার সময় চরম ভয় পেয়েছিলেন শাহরুখ।
গৌরীকে নিয়ে কেন ভয় পেয়েছিলেন শাহরুখ খান: শাহরুখ-গৌরির প্রথম সন্তান আরিয়ান। আরিয়ান হওয়ার সময় খুবই ভয় পেয়েছিলেন শাহরুখ খান। এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কিং খান বলেছিলেন, ‘আরিয়ানের জন্মের সময় যখন হাসপাতালে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিল গৌরী৷ তখন আমার তো ভয়ে হাত-পা কাঁপছিল। প্রচণ্ড টেনশন হচ্ছিল৷ ভেবে পাচ্ছিলাম না কী করব’। প্রথম বার শুধু নয় তৃতীয় সন্তান নেওয়ার সময়েও শাহরুখ ভয় পেয়েছিলেন। স্ত্রীর বয়স ৪০ পার, তাই আর ঝুঁকি নিতে চাননি বলিউড বাদশা। দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা না হওয়ায় সারগেসির মাধ্যমে সংসারে আমন্ত্রণ জানান ছোট্ট আব্রামকে।
শাহরুখ খানের বিয়ের তারিখ: ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর চার হাত এক করেন শাহরুখ ও গৌরী। শুরু হয় দম্পতির যাত্রাপথ। ২৯ বছর পরেও একইভাবে একে অপরের হাতটা ধরে রেখেছেন শাহরুখ খান ও গৌরী খান। যখন শাহরুখ-গৌরির বিয়ে হয় তখন বলতে গেলে পকেট ফাঁকা কিং খানের। তখন থেকে আজও শাহরুখ-গৌরির প্রেম ভালোবাসা অফুরন্ত তা বলাই বাহুল্য।