অবশেষে বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন ঋতাভরী, ফাঁস হল আসল কাহিনী

তবে কি ইতি টেনে গেল ঋতাভরী ও তথাগত এর সম্পর্কে? বর্তমানে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ ভালোমতো জায়গা করে নিয়েছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। তার ছবির প্রমোশনের সঙ্গে সঙ্গে মিডিয়া তার ব্যক্তিগত জীবনেও উঁকি ঝুঁকি মারছে একটু বেশি। ২০১১ সালে ঋতাভরী চক্রবর্তী মনোবিদ তথাগত চ্যাটার্জির (Tathagata Chatterjee) সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপর যখন করোনার জন্য লকডাউন হয়েছিল, তখন তারা একসঙ্গেই একই বাড়িতে লিভ-ইনে থাকতেন। এমনকি তারা দুজনে একসাথে একটি নতুন বাড়িও কেনেন। তাদের প্রেম এতটাই মাখোমাখো হয় যে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাদের দুজনের অনেক একত্রিত ফটো প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়।
তাদের প্রেম নিয়ে তারা সর্বদাই চর্চা হতে থাকে। সম্প্রতি নেটিজেনদের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে যে ঋতাবরী এবং তথাগত তাদের সম্পর্কে নাকি ইতি টানতে চলেছে। তার কারণ একসঙ্গে তাদের কোন ফটো এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যায় না। তাদের একসঙ্গে এখন কোথাও আউটিং এ বেরোতে দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে ধারণা করে নেওয়া হয়েছে যে, তাদের মধ্যে হয়তো সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। এই নিয়ে মিডিয়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল সমালোচনা। এমন কি নেটিজেনরা বলে ওঠেন যে, ঋতাভরী যেহেতু সিনেমা জগতে কাজ করেন, তাই হয়তো মনোবিদ তথাগত চ্যাটার্জির পরিবার থেকে ঋতাভরীকে মেনে নেয়নি।
আবার অনেকে বলেন যে, ঋতাভরী সম্প্রতি এতটাই বিখ্যাত হয়ে পড়েন যে তিনি তথাগতকে ধোকা দিচ্ছেন। ঠিক সেই সময় মনোবিদ তথাগত চ্যাটার্জীর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তিনি তার ফেসবুক থেকে এক লম্বা লেখা পোস্ট করেন। সেখানে তিনি পরিষ্কার করে জানান যে, ঋতাভরীর সঙ্গে তার সম্পর্ক যেমন ছিল ঠিক তেমনই আছে। তিনি আগেও যেমন ভালোবাসতেন, এখনো ঠিক তেমনি ভালোবাসে। এ ছাড়া ঋতাভরীকে তার পরিবার থেকেও যথেষ্ট ভালোবাসে এবং সম্মান করে।
তিনি এবং তার পরিবার যথেষ্ট স্বাধীনচেতা। তাই ঋতাভরীর ক্যারিয়ার, প্রফেসন নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে তারা কোনো রকম কোনো কাটাছেঁড়া করতে অপছন্দই করেন। তাই দয়া করে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কেউ যেন আজেবাজে কথা না বলে। এই লম্বা পোস্টটি ঋতাভরীও তার নিজের প্রোফাইল দেখে শেয়ার করে লেখেন যে, আজকাল মিডিয়া তাদের টিআরপি বাড়ানোর জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানারকম মিথ্যে গল্প বানিয়ে থাকে। তাই দয়া করে তার জীবন নিয়ে যেন এরকম কোন গুজব না বানায়। সত্যি কিছু না জেনে তারা এরকম মিথ্যে গল্প এর আশ্রয় যাতে না নেয়। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ জাগাটাই স্বাভাবিক।